বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আনোয়ারায় ইমারত নির্মাণে মানা হচ্ছে না ইমারত আইন

এস,এম,সালাহ্উদ্দীন আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : আনোয়ারা উপজেলায় যে হারে বহুতল ভবন হচ্ছে এখন তা ঢাকা-চট্টগ্রাম নগরীকেও যেন হার মানিয়েছে। যে হারে বর্তমানে বহুতল ভবন ওপরের দিকে ওঠছে সে হারে কয়টি ভবনের (সিডিএ), ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশের অনুমোদন রয়েছে কিনা তা কারো জানা নেই। ইমারত আইনকে তোয়াক্কা না করে অর্থলোভী কিছু মানুষ দৈত্যের মতো উপরের দিকে ভবন নির্মাণ করেই যাচ্ছে। এসব ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে কিনা তা আদৌ সন্দেহ রয়েছে জনমনে। গত ৫ বছরে আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আনুমানিক ২০/৩০ পুকুর, দিঘি ও জলাশয় ভরাট করে ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।
কিন্তু এসবের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন তদারকি না থাকায় যার যার ইচ্ছে মতো শুধু ভবন আর ভবন তুলতে শুরু করেছে। বর্তমানে আনোয়ারায় অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের ফলে যেন মনে হয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীকেও হার মানিয়েছে। এদিকে অনেকেই সরকারি বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ৩/৪ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ৬/৭ তলা ভবন নির্মাণ করছে। আনোয়ারা উপজেলা ও চাতরী চৌমুহুনী এলাকায় প্রসাশনের নাকের ডগায় ও অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ করেছে এবং নির্মাণ কাজও চলছে। অনুমোদনহীন ভবনগুলো ভূমিকম্পের পূর্ণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আনোয়ারার পরিবেশ শান্ত হওয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী উপজেলার লোকজন এসে জায়গা ক্রয় করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছে।
তাই আনোয়ারাতে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে তুলনাই ভবন নির্মাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পুকুর, দিঘি, জলাশয় ভরাট করে (সিডিএ) কর্তৃপক্ষের ৩/৪ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়ে তার ওপর ৮/৯ তলা ভবন নির্মাণ করছে। অপরিকল্পিত, পুকুর, দিঘি ও জলাশয় ভরাট করে এত কিছু ভবন নির্মাণ করার ফলে এসব ভবন ভূমিকম্পে ধসে মারাত্মক প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন অনেকেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ