শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ক্রিকেট কথা ও বাস্তবতা!

মোহাম্মদ সুমন বাকী : বাংলাদেশের ক্রিকেট একটি সম্পদে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে জনপ্রিয় এই খেলাটির সু-সময় চলছে। কোনো প্রকার সন্দেহ নেই একবারেই হট কেক। তাও আবার সফট। যা সবার পছন্দ। এর প্রমান তাদের সবুজ ঘাসের মাঠে সরব উপস্থিতি। সেটা পালনে বিন্দু পরিমাণ কার্পণ্য করেননি। উদার মনে বার বার উপস্থিত হন। ব্যাট-বলের ক্রীড়া ক্রিকেটের (গাংগুটি) প্রতি ভালোবাসার জোয়ার বইয়ে দিয়ে। যা স্মৃতির ঝলমল আলোতে চোখের পাতায় ভেসে উঠে। ম্যাচের পর ম্যাচের ইতিহাসকে পুঁজি বানিয়ে। তা বলা বাহুল্য। সে কথা সকলের বোধগম্য। এমন অবস্থায় লাল-সবুজ পতাকা দেশের ক্রিকেটের মান পৌঁছে গেছে বিশ্ব স্ট্যান্ডার্ডে। সেটা সুখের নয়, পরিশ্রম এবং কষ্টের ইতিহাস। কোটি কোটি খেলা পাগল ভক্তের জানা আছে তা। অক্ষরে অক্ষরে শতভাগ সত্য যা। কোনো ছবির কাহিনী নয় সেটা। সবুজ ঘাসের মাঠে ফোটা ফোটা ঘাম ঝরানো ইতিহাস তা। দৌড়, অনুশীলন সবকিছু যে একই সূত্রে গাঁথা। যা দেখা যায় রুটিন মাফিক। সেটা ঘড়ির কাঁটা ঘুরার ন্যায় ঠিক ঠিক। এখানে বিন্দু পরিমান ফাঁকি দেবার অবকাশ নেই। এই ক্ষেত্রে অলসের মেতা সুযোগ খোঁজা মানে স্ব-মনের অজান্তে বহুদূর পিছিয়ে পড়া। যারা এমন রুটিন মাফিক অনুশীলন করে তারা সবচেয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ভালো বুঝেন। এটা হচ্ছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে পরিশ্রমের জগতে বিলিয়ে দেয়া। এর লক্ষ্যে আছে। তা হলো নরম বুকের মাঝে লালন-পালন করা মহা স্বপ্ন! মানে তারকা খেলোয়াড় হওয়া। মনের চাওয়া-পাওয়া স্বপ্ন পূরণে আসল বিষয় যা। লাল-সবুজ পতাকা দেশের কোটি কোটি ক্রীড়া প্রেমীর জানা রয়েছে সেটা। অবশ্যই বাস্তবতার ধারাতে বার বার উঠেছে তা। এমন বিষয়ে আপনাদের অভিমত কি? যেকোনো খেলার প্র্যাকটিস (অনুশীলন) খুবই কঠিন। যা দৌড় বা  শারীরিক কসরতের জন্য নয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সেটা নিয়ম মেনে চলার জন্য। তাও আবার বছরর পর বছরকে আঁকড়ে ধরে। কলমের কালির ফোটা পরিমাণ পিছানো যাবে না। যা স্বচ্ছ পানির ন্যায় পরিস্কার কথা। মাঠের অনুশীলন কর্মকান্ডের বিশ্লেষণমূলক ধারায় শতভাগ সত্য সেটা। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড় জীবনটা খুবই কঠিন। তা একের পর এক ফর্মূলা তৈরী করে বাস্তবায়িত হয়। সে কারণে এ ভুবনের সূচনা পর্বে পা রাখার স্পর্শে সকলের মনে অদৃশ্য কোন থেকে উকিঁ দেয় অজানা ভয়। এবার আলোচনা করা যাক খেলাটির পোষাক প্রসঙ্গে। আগের শার্ট, প্যান্ট নেই। বদলে গেছে সব এই আধুনিক যুগে। এখন জার্সী, ট্রাউজার পরতে হয়। পরিবর্তন শুধু এখানে। গার্ড, প্যাড, গ্লাভস, হেলেমেট ব্যবহৃত হয়। যথারিতী পূর্বের ন্যায়। ক্রিকেট (গাংগুটি) এমন পন্থায় বুক ফুলয়ে দাড়িঁয়ে আছে। সেটা বিশ্বের ঘরে ঘলে আগমনি বার্তা জানিয়ে। অবশ্যই তা শচীন টেন্ডুলকারের যুগে। নানা রুপে সেজে। এর পাশাপাশি নেচে গেয়ে। দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষকে এক কাতাঁরে দাঁড় করিয়ে। যা না বললেও হয়। ক্রিকেট এখন আধুনিক। সেটা টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির ডে ও ডে-নাইট ম্যাচ আয়োজনের ছোঁয়াতে। এমন অবস্থায় খেলা কিছুটা সহজ। কারন প্রতিদ্বন্ধিতা করতে হবে। কিন্তু প্র্যাকটিস! তা খুবই কঠিন বিষয়। ক্রিকেটের এ বিষয়ের ইতিহাস বলে যা স্বাভাবিক। কারন সেটাতো রুটিন মাফিক প্রতিদিনের কাজ। কখনো দিনের বেলায় (মাঝে মাঝে ভোরে), কখনো রাত্রের ফ্ল্যাড লাইটের আলোতে তা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা সময়ের ব্যয়কে লক্ষ রেখে। বর্তমানে বাংলাদেশ এমন বাস্তবতার ফমূর্লার বৃত্তে অবস্থান নিয়েছে। যার ফলে ধাপে ধাপে উন্নতি করেছে। যা বিসিবির অধীনে। সেটা বৃহৎ সংস্থার পরিচালনার বৃত্তে পা রাখে। তা সারা পৃথিবীতে আলোকিত ধারায় আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে ঘুরে ফিরে দাড়িঁয়েছে। সাফল্য ব্যর্থতার মাঝে টিম বাংলাদেশের অবস্থান। যা দর্শকের কাছে সহনীয়। কি বলেন আপনারা? সম্প্রতি ভারত সফর শেষ করেছে টাইগারদের দল। সেখানে তারা কি সফল? না ব্যর্থ? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুবই সহজ। ভারত সফরে বাংলাদেশ টিম একবারেই ব্যর্থ নয়। যদিও টেষ্ট সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে তারা। সত্য কথা বলতে কী, স্বাগতিক টিম ভারত (ইন্ডিয়া) একেবারেই পাত্তা দেয় নি তাদের! এক কথায় সেটা স্বাভাবিক। তা বলাবাহুল্য। যা সবার বোধগম্য। যেখানে সাউথ আফ্রিকা হোয়াইট ওয়াশ হয় সেখানে টাইগার টিম এমন রেজাল্ট করবে স্বাভাবিক। অবশ্যই সেটা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিবেচনায়। তা উলেখø করা প্রয়োজন। টিম ইন্ডিয়া টেষ্ট র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বর অবস্থান করছে। যা নতুন মুখ নয়। সেটা পুরোনো দিনের রেকর্ড এর জনপ্রিয় গানের মতো। চেলতে চেলতে মেরে ইয়ে নাম্বার ওয়ান (গীত) ইয়াদ রাখে না। কাভি আলবিদা না কেহে না। ক্রিকেট মেরা দিল মে রেহেগা। আল বিদা নেহি বলেগা। বর্তমানে সাফল্যের পর্বতে অবস্থান নেয়া দল ভারতের এই ইর্ষনীয় অবস্থা। বিশেষ করে টেষ্ট ভুবনে। তা বার বার ফুটে উঠেছে গত কয়েক মৌসুম ধরে। যা কি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে? সেটা ইন্ডিয়ার বেলায় ঘটেছে। সাফল্যের চাদর পরিকল্পনার আঙ্গিনায় সাজিয়ে। এর ওপর ভরসা করে গত কয়েকেবছর ধরে টেস্ট ভুবনের র‌্যাংকিং নাম্বার ওয়ান ইন্ডিয়ার দখলে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ব্যর্থ হয় বিরাট কোহলিদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে। বাইরের মাটিতে দুর্দান্ত ফাইট এবং হোম গ্রাউন্ডে হোয়াইট ওয়াশ করে প্রতিপক্ষ দলকে নাকাল করে ছেড়েছে টিম ইন্ডিয়া। পরিকল্পনাটা কী! একবার ভেবেছেন!! যাদের কাছে বাংলাদেশ দলের হোয়াইট ওয়াশ হওয়াটা স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিশ্ব ক্রিকেট পন্ডিতরা!!! এর আগে টি টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ বাংলাদেশ হারে ১-২ ব্যবধানে। তারা দারুণ নৈপুণ্য দেখায় ভারতের বিপক্ষে। এই লড়াইয়ে সাফল্য আছে টাইগার টিমের। একটি জয়, কি বলেন? এমন পরিস্থিতিতে ২০১৯ সাউথ এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারত প্রথম নাম লেখায়! গত দুইটি আসরে খেলেনি তারা!! এর কারন বিসিসিআই জানে!!! যাক সে কথা। এবারের গেমস ক্রিকটে প্রতিযোগিতায় গ্রুপ ‘বি’ তে বাংলাদেশ লড়াই করবে পাকিস্তান ও মালদ্বীপ এর সঙ্গে।
এ অবস্থায় লাল-সবুজ পতাকা টিমের সেমিফাইনাল নিশ্চিত। কিন্তু পদক জয় ! তা কি করতে পারবে? এর উত্ত সময় হলে জানা যাবে। কারণ পদক জয় করার ক্ষেত্রে তাদের কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত, শ্রীলংকা এবং পাকিস্তান। যা বলাবাহুল্য। সেটা সবার অবগত। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত টাইগার টিম কি করে? উল্লেখ্য এস এ গেমস ক্রিকেটর প্রথম আসরে বাংলাদেশ স্বর্ণ পদক জিতে সোনালী ইতিহাসের খাতায় নাম লিখিয়েছে ২০১০  সালে। তাও আবার স্বাগতিক দল হিসেবে। যা জানা আছে আপনাদের। এই হলো ক্রিকেট কথা ও বাস্তবতা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ