সমাজে খুব অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে -তথ্যমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার: পাওয়া না পাওয়ার বেদনা নিয়ে সমাজে এখন খুব অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। বিত্তের পেছনে ছুটতে গিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এতে সমাজ কলুষিত হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু পেতে হবে, এমন একটি ধারণা সবার মাঝে। এটি সমাজকে অসুস্থ করে তুলছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে শামীম আহমেদের লেখা সাংবাদিক মোস্তাক হোসেন একটি যুগের প্রতীক শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নতুন ধারা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীসহ অনেকে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে সবাই প্রভাব-প্রতিপত্তির পেছনে ছোটে। সবার মধ্যে শুধু এখন না পাওয়ার বেদনা। যে পেয়েছে, তার মধ্যেও না পাওয়ার বেদনা। যে পায়নি, তার মধ্যেও না পাওয়ার বেদনা। এজন্য সমাজে খুব অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। সেই কারণেই মানুষ অসুখী। সুখের প্রধান বিষয় হচ্ছে, আমার যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। বিত্তের পেছনে ছুটতে গিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এতে সমাজ কলুষিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যখন ২০০৭ সালে গ্রেফতার করা হয়, তখন অনেকে ভোল পাল্টেছিল। আমাদের দলের অনেকে ভোল পাল্টেছিল। আবার যারা কাগজে লেখে, তাদের মধ্যেও অনেকের ভোল পাল্টেছিল। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে তারা আবারও ভোল পাল্টেছে। কারণ যারা ভোল পাল্টায়, তারা সময় মতো আবারও ভোল পাল্টায়।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক মোস্তাক হোসেনের কথা স্মরণ করে বলেন, সাংবাদিক মোস্তাককে আমি মামা বলে ডাকতাম। অনেক সংবাদিক তাকে মামা ডাকতো, তাই আমিও মামা ডাকতাম। তার মতো ভালো মানুষ খুব কম হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন ও জানতেন। আমার মনে হয় না তিনি কখনো প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো চাহিদার জন্য গিয়েছিলেন। তার কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। খুব বেশি চাহিদা ছিল না। শুধু জীবন চলার জন্য যেটুকু প্রয়োজন, তার ততটুকুই চাওয়া ছিল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। আজকের এই সময়ে শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও তিনি উদাহরণ। লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি নিভৃতে কাজ করতেন। ক্ষমতাবানদের কাছে বিশেষ চাহিদার জন্য কখনো যেতেন না।