শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে জন্ম নেয়া শিশু নিয়ে ধুম্রজাল!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দিপ্তী রানী দাস নামক এক প্রসূতির জন্ম দেয়া সন্তান নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। জন্ম দেয়া সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে এই নিয়ে বাঁধে বিপত্তি।
প্রসূতির স্বজনদের দাবি আল্টাসনোর রিপোর্ট অনুযায়ী দিপ্তীর ছেলে সন্তান হওয়ার কথা কিন্তু সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাদের কোলে কন্যা শিশু তুলে দেয়া হয়েছে। অপর দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে দিপ্তী রানী দাসের কন্যা শিশু জন্ম হয়েছে। তার স্বজনদের  কোলে কন্যা শিশুই তুলে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গত রোববার দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলম, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সেবিকারা দীর্ঘ আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের জানান, দিপ্তী রানী দাসের কন্যা সন্তানই জন্ম হয়েছে। আল্টাসনোগ্রাফ করা চিকিৎসকগণ জানান, তারা দিপ্তী রানী দাসের আল্টাসনো রিপোর্টে সম্ভাব্য সন্তান নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি।
গত রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পৌর এলাকার পাইকপাড়ার সজিব দাসের স্ত্রী দিপ্তী রানী দাসের সিজারিয়ান অপারেশন হয়। সিজারিয়ান অপারেশনের পর হাসপাতালের  সেবিকারা (নার্স) দিপ্তী রানী দাসের মা শোভা রানী বিশ্বাসের কোলে কন্যা শিশু তুলে দিলে তিনি তাঁর নাতিনকে কোলে নিতে আপত্তি করেন। এ সময় শোভা রানী বিশ্বাস বলেন, তার মেয়েকে তিনবার আল্ট্রাসনো করা হয়েছে। প্রতিবারই চিকিৎসক তার মেয়ের গর্ভে ছেলে সন্তান আছে বলে  তাদেরকে জানান। যে কারণে তিনি কন্যা শিশুর জন্ম হওয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না।
সরজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, গত রোববার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি শিশুর জন্ম হয়। সিজারিয়ান অপারেশন করা প্রসূতিরা হলেন, সদর উপজেলার মোহনপুর  গ্রামের শারমীন আক্তার, সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের শাহআলমের স্ত্রী তামান্না আক্তার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পাইকপাড়া গ্রামের সজিব দাসের স্ত্রী দিপ্তী রানী দাস।
সিজারিয়ান অপারেশনে শারমীন আক্তার ও তামান্না আক্তার ছেলে এবং দিপ্তী রানী দাস কন্যা শিশুর জন্ম দেন।
অপারেশনের পর হাসপাতালের সেবিকারা শারমীন আক্তার ও তামান্না আক্তারের অভিভাবকদের কোলে ছেলে শিশু এবং দিপ্তী রানী দাসের মায়ের কোলে কন্যা শিশু তুলে দেন। এ সময়ই জটিলতার সৃষ্টি হয়।
মঠবাড়িয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর উদ্যোগে হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার সাফা ডিগ্রি কলেজে প্রায় তিন শতাধিক রোগীকে বরিশাল ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনষ্টিটিউট এন্ড হাসাপাতলের ৮ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ সেবা প্রদান করেন। এসময় ১২৯ জন পুরুষ ও ১৬০ মহিলা রোগীকে ব্যবস্থাপত্র এবং ৬৫জনকে ছানী অপারেশনের জন্য বরিশাল ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনষ্টিটিউট এন্ড হাসাপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। চক্ষু শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক মোঃ ফারুক রহমান, সাফা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) বিনয় কৃষ্ণ, প্রভাষক এ,কে, সাকিল আহমেদ, রিক এর ভান্ডারিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম, মঠবাড়িয়ার এরিয়া ম্যানেজার জি.এম. মাহমুদ জুয়েল ও ধানীসাফা শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ নূরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ