শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কথাশিল্পী শাহেদ আলী স্মরণে আলোচনা সভা

অধ্যাপক শাহেদ আলী মানুষ হিসেবে ছিলেন অসাধারণ এবং কথাশিল্পী হিসেবে কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী। তাঁর রচিত ‘জিবরাইলের ডানা’ ও ‘একই সমতলে’ গল্পগ্রন্থ দুটির জন্য তিনি বাংলা কথাসাহিত্যে চির অমর হয়ে থাকবেন। তাঁর মতো সৃজনশীল জীবনশিল্পী বাংলা সাহিত্যে বিরল। কথাসাহিত্য ছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
গত ১৬ নভেম্বর বিকেলে শনিবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অমর কথাশিল্পী শাহেদ আলীর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কথাশিল্পী শাহেদ আলী-চেমন আরা ট্রাস্ট’-এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা ও দো’আ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এ কথা বলেন।
ভাষাসৈনিক অধ্যাপক মোহাম্মাদ আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম, বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক মুহাম্মাদ মতিউর রহমান, অধ্যাপিকা নাজমা শামস্, অধ্যাপক এম এ সামাদ, ড. সিদ্দিক হোসেন, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাহাব উদ্দীন আহমদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শরীফ বায়েজীদ মাহমুদ।
অধ্যাপক মোহাম্মাদ আব্দুল গফুর সভাপতির বক্তব্যে বলেন, অধ্যাপক শাহেদ আলী ছিলেন উঁচুমাপের কথাশিল্পী, মননশীল লেখক ও অনুবাদক। ভাষা আন্দোলনে তাঁর অবদান অসামান্য। দীর্ঘকাল তিনি ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজের খেদমত করে গেছেন। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ, উদার, মানবিক গুণের অধিকারী।
বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম বলেন, শাহেদ আলী বাংলাদেশের ইতিহাসের এক উজ্জল নক্ষত্র। সাহিত্যে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, সেজন্য আমরা তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব। তাঁর সহধর্মিনী অধ্যাপিকা চেমন আরাও একজন ভাষাসৈনিক, শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক। তিনি ছিলেন শাহেদ আলীর অনুপ্রেরণা।
অধ্যাপিকা নাজমা শামস বলেন, শাহেদ আলীর পরিবারের সাথে দীর্ঘকাল যাবৎ তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মানুষ হিসেবে তাঁরা উভয়েই ছিলেন অমায়িক ও পরম অতিথি বৎসল। সর্বদা তাঁদের কাছ থেকে আমি সৎ পরামর্শ পেয়েছি। আমার জীবনে তাঁরা ছিলেন বড় অনুপ্রেরণা। তাঁদের মতো আদর্শ মানুষ সমাজে বিরল।
অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, অধ্যাপক শাহেদ আলীর সাথে তাঁর পরিচয় ১৯৬০ সালে। তখন থেকে তিনি আমাকে সাহিত্য চর্চায় বিশেষভাবে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমি যখন দুবাইতে ছিলাম তখন সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। স্কুলের মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলা সাহিত্য সম্মেলন ও পুস্তুক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করি। সম্মেলনে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রথিতযশা কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে তাঁদেরকে পুরস্কৃত করি। ১৯৯২ সালে অধ্যাপক শাহেদ আলীকে প্রধান অতিথি করে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁকে পুরস্কৃত করেছি, দুবাইয়ের বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর সাক্ষাৎকার এবং আরব-আমিরাতের বিভিন্ন শহরে সাহিত্যনুষ্ঠানে তাঁকে নিয়ে গিয়েছি। ওই সময় তাঁর একটি একান্ত সাক্ষাৎকারও নিয়েছিলাম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ