মধ্যপ্রাচ্যে নারী গৃহকর্মীরাই বেশি নির্যাতনের শিকার
সংসদ রিপোর্টার : মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশী নারীকর্মীদের মধ্যে নির্যাতনের শিকার ১ শতাংশেরও কম। এসব নারীর মধ্যে গৃহকর্মীরাই বেশি নির্যাতনের শিকার হন। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে, সংখ্যায় যা-ই হোক, নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, নাইম রাজ্জাক ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) অংশ নেন।
বৈঠকের বিষয়ে কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের বিষয়ে আলোচনা করেছি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ৬ লাখের বেশি নারীকর্মী বিদেশে আছেন। এরমধ্যে নির্যাতনের হার এক শতাংশেরও কম। তবে, আমরা বলেছি, সংখ্যায় যাই হোক, নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনও নারী নির্যাতনের শিকার হলে পররাষ্ট্র বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে। নির্যাতনকারীদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, অনেক নারীকর্মী বিদেশে ভালো আছেন। তারা নিজেরা দেশে ফিরে আসার পর আবারও যাচ্ছেন। তাদের আত্মীয় স্বজনদেরও নিয়ে যাচ্ছেন।
বৈঠকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তুলনামূলকভাবে পুরুষকর্মীদের চেয়ে নারীকর্মীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। যেখানে পুরুষরা তাদের আয়ের ৬০ শতাংশ রেমিট্যান্স পাঠান, সেখানে নারীরা পাঠান ৯০ শতাংশ। ২৫ বছরের কম ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের বিদেশ না পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কখনও ১৪ বছরের শিশু আবার কখনও ৬৫ বছর বয়সীদের পাঠানো হয়েছে বলে কমিটিকে জানানো হয়। এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত এজেন্সিগুলোকে চিহ্নিত করে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে।
বৈঠকে বিদেশে প্রশিক্ষণগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়া, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সম্প্রতি আশিয়ান দেশ সফরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তাদের সফরের পরপরই আসিয়ান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি এক নম্বর এজেন্ডা ছিল বলেও বৈঠকে জানানো হয়।