আজিজ কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে ৩শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের ১১ হাজার আমানতকারীর কাছ থেকে ৩শ’ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তিনি কানাডায় অবস্থানরত তার দুই ছেলের কাছে শত কোটি টাকা পাচার করেছেন। আজিজ কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে ১১ হাজার গ্রাহকের ৩শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন আমানতকারী স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি। তারা অবিলম্বে তাজুুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারের সমবায় অধিদফত থেকে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানান।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি জানায় তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক এস এম হারুনার রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম রানা, নুরুন নবী, বাহার সহ আরও অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্তরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের কার্যক্রম ১৯৮৪ সালে শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ছিল সম্পূর্ণ এমএলএম কোম্পানির মতো। এছাড়া ব্যাংক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠনের কোনো স্বীকৃতি নেই। কিন্তু নামের শেষে ব্যাংক শব্দটি ব্যবহার করে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করে, মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তারা আরও বলেন, এ ৩শ’ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামের ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়। পরে এসব অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে ট্রান্সফার করে টাকা স্ত্রী ও তিন ছেলের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন তিনি। কানাডায় বসবাসরত দুই ছেলের কাছে ১শ’ কোটি টাকা পাচার করেছেন তিনি।
কমিটির আহ্বায়ক এস এম হারুনার রশীদ বলেন, ১২ শতাংশ সুদ ও ১৮ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার কথা বলে ১৬০টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদি আমানত নেয়া হতো। মেয়াদ শেষ হলে গ্রাহকরা টাকা চাইলে তাদের আজ নয় কাল করে সময় দেয়া হতো। গ্রাহকরা না মানলে তাদের হুমকিও দেয়া হতো। এভাবে ব্যাংকের নামে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে বে আইনিভাবে ব্যাংক ব্যবসা করে আসছিলেন তাজুল ইসলাম। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের দাবি করছি। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।
তিনি বলেন, এমএলএম কোম্পানি হয়েও ব্যাংক বলে ১১ হাজার ৪২৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৩শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। এছাড়া অনুমোদিত ২৬টি শাখার বিপরীতে সারা দেশে ১৬০টি শাখা অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়।