শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দুদকের মামলায় রিমান্ডে মোহামেডানের লোকমান

স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী মকবুল হোসেন ফকির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন বলে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা মো. জুলফিকার জানিয়েছেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাত দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৭ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে লোকমানের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তির হিসাব আয়কর নথিতে দেখালেও অনুসন্ধানে তার ‘সুনির্দিষ্ট কোনো বৈধ আয়ের উৎস’ পাওয়া যায়নি। এতে বলা হয়, আসামি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া তার আয়কর নথিতে ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছাড়াও নিজ নামে ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে যৌথভাবে আরও দুই কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। কিন্তু তা তাদের আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইন চার্জ লোকমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি) পরিচালক। সেপ্টেম্বরের শেষে ঢাকার মতিঝিল এলাকার ওই ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দুটো রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমাণ কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও ১০টি বিভিন্ন ধরনের চাকু পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে কয়েক বোতল মদসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাকে। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে গত ৬ অক্টোবর লোকমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ