বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর রংপুর সদর উপজেলায় ২৮টি দুর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ি পরিদর্শন

রংপুর অফিস : দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাজের বিনিময়ে টাকা কাবিটা এবং টেষ্ট রিলিফ টিআর কর্মসূচির বিশেষ খাতের মানবিক সহায়তায় রংপুর জেলার সদর উপজেলায় ২৮টি দুর্যোগ সহনীয় পাকা বাড়ির কাজের পরিদর্শন করেছেন। গত সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মোহাম্মদ এনামুর রহমান এমপি হরিদেবপুর ইউনিয়নের পাগলাপীরের গোকুলপুর চাখাওয়াটারীতে পরিদর্শন করেন। এরআগে ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। এসময় অন্যন্যের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন  জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদিয়া সুমী, হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও রাজনীতিক ব্যক্তিগণ।  জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস জানায়, উপজেলার বসত ভিটা আছে ঘর নেই এমন অসচ্ছল, হতদরিদ্র, গৃহহীন কিংবা বিভিন্ন দুর্যোগে গৃহহীন নিজস্ব তিন শতক জমিতে ২৮টি পরিবারের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রত্যেক বাড়ি নির্মাণে সরকারের খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায় কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ সহনীয় বাড়িগুলো নির্মাণ করেছে সরকার। ইটের গাঁথুনি দিয়ে বাড়িগুলো নির্মিত হয়েছে। কাঠের দরজা-জানালা, অত্যাধুনিক রঙিন টিনের ছাউনি, ১০ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট আয়তনের দুই কক্ষের বাড়ি, একটি রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘর নির্মাণে  মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭২লাখ টাকা। ভূম্পিকম্প সহনীয় দেশ গড়তে জনসচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। জাপানের কারিগরি সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ভুম্পিকম্প সহনীয় নতুন ভবন তৈরী করার কথা জানান তিনি। সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় ৫ দিনব্যাপী “ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ এন্ড এক্সচেঞ্জ” শীর্ষক বহুজাতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বহুতল ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে চিহ্নিত করে ভূমিকম্প সহনীয় করাসহ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ভবন মালিকদের পরামর্শ দেয়ার কথাও বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ নজরুল ইসলামসহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ