শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

টাকা আত্মসাৎ মামলায় গ্রেফতার খুলনার সহকারী কর কমিশনার কারাগারে

খুলনা অফিস : কর দাতাদের তিন কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৯ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় গ্রেফতার বরখাস্ত হওয়া খুলনার সহকারী কর কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। কর কমিশনের অনুমতি নিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর বয়রাস্থ সবুরের মোড়ের নিজ বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে দুদক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ২৭ মে খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার (সদর প্রশাসন) খোন্দকার তারিফ উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (খালিশপুর) সহকারী কর কমিশনার মেজবাহ’র বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ২৮ মে ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম।
ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেজবাহ ২০১৭ সালের ৮ মে থেকে ২০১৮ সালের ৮ নবেম্বর পর্যন্ত খুলনা কর অঞ্চলের অধীনস্থ কর সার্কেল-১৪, বাগেরহাটে সহকারী কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি কর দাতাদের রাজস্ব হিসাবে দাখিল করা মোট ৪০টি পে-অর্ডার, ডিডি, ক্রস চেক সরকারি কোষাগারের পরিচালিত হিসাবে চালানের মাধ্যমে জমা না দিয়ে বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি সেই এ্যাকাউন্ট থেকে নিজে সই করে দুই কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া একাধিক চেকের মাধ্যমে বাগেরহাট অপর একটি ব্যাংক থেকে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, সার্কেল-১৭ মংলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ ৯৯৮ টাকা, সার্কেল-১০ মাগুরায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সোনালী ব্যাংক থেকে ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৪ টাকা, সার্কেল-২২ ভেড়ামারায় কর্মরত থাকা অবস্থায় জনতা ব্যাংক থেকে ৪২ লাখ, সাত হাজার ৫২৭ টাকাসহ সর্বমোট তিন কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজস্ব তহবিলে জমা না দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাধিক বেতন হিসাব খুলে ব্যাংক থেকে টাকা নিজে উত্তোলন করেছেন। এ সব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন যুগ্ম-কর কমিশনার মো. মঞ্জুর আলম। তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে রাজস্ব বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ