শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দারিদ্র্য কমলেও বেড়েছে বৈষম্য ---পরিকল্পনামন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্য একটি অন্যায়, তাই এটাকে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই দূর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দারিদ্য্র আছে, তবে সেটা কমছে। কিন্তু দেশে বৈষম্য বাড়ছে। বৈষম্য একটি অন্যায়, তাই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে উন্নয়ন অন্বেষণ প্রতিষ্ঠান অক্সফাম কতৃক আয়োজিত ‘ যেখানে বাংলাদেশে বৈষম্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 অক্সফামের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডক্টর খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাবৃন্দ। সেমিনারে কি -নোট প্রেজেন্টেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দারিদ্র কমানো একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই দারিদ্র স্থায়ীভাবে কমাতে হলে আমাদেরকে বৈষম্য দূর করতে হবে। যে গরীব সে আরো গরীব হচ্ছে, আর যার অবস্থা ভালো সে আরো উন্নত ও অগ্রসর হচ্ছে।

সাবেক গর্বনর ড. সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, আর্থিক খাতের সমস্যাগুলো আমাদের সকলেরই জানা। সমস্যা দূর করার জন্য ব্যাংকিং কমিশন করা যেতে পারে। তবে সেখানে কারা থাকবে সেটাও একটা বিষয়।

তিনি বলেন, যারা কোটি কোটি টাকা ঋণ নেয় তারা কোন টেনশনে থাকে না। আর যারা ঋণ দেয় তারাই সমস্যায় থাকে। একজন পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করলে সাসপেন্ড হয় কিন্তু তার কোন বিচার হয় না। ব্যাংকের টাকা চুরি করে কিন্তু বিচার হয় না, শাস্তি পায় না।

এ বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, যারা ঋণখেলাপি হচ্ছেন তারাই লাভবান হচ্ছেন। ঋণ খেলাপি হলে তারা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদ দিচ্ছেন। আর যারা নিয়মিত দেন তাদেরকে দিতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষার মানের অস্বাভাবিক অবনতি হয়েছে। অনেকে বিএ, এমএ করেও চাকরি পাচ্ছে না। তারা লেখাপড়া করছে কিন্তু তাদের মধ্যে যোগ্যতার অনেক ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, আমার ৩১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী খালি পেপার জমা দিয়েছে। তাহলে বুঝতে হবে শিক্ষার মান কোথায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ