গৃহবধূ সালেহাকে গলা কেটে হত্যা স্বামী পলাতক
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ সালেহা (২৮) কে নিজ ঘরেই জবাই করে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোপালদী পৌরসভাধিন উত্তর কলাগাছিয়া এলাকায় ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে। পুলিশ ও নিহত সালেহার পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, উত্তর কলাগাছিয়া এলাকার হাছেন আলীর বাড়িতে তারই মেয়ে সালেহার স্বামী মোবারক হোসেন ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করত। মোবারক দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মহীন অবস্থায় থাকার কারনে কয়েক বছর আগে স্ত্রী সালেহা সৌদী আরবে কাজ করতে চলে যায়। আড়াই বছর সৌদী আরব চাকুরী করে রোজার ঈদের আগে সালেহা সৌদী আরব থেকে দেশে আস। সৌদী থেকে সালেহার পাঠানো টাকা নিয়ে স্বামী মোবারকের সাথে ঝগড়া হয়।
মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে ছেলে ময়ে নিয়ে সালেহা ঘুমিয়ে থাকে। গভীররাতে ঘুমন্ত সালেহাকে স্বামী মোবারক ছোরা দিয়ে জবাই করার কালে মায়ের ঘোঙ্গানি শুনে পাশে ঘুমন্ত সালেহার পাশে থাকা তার ছেলে মেহেদী হাসান(৯) ও মেয়ে সুমাইয়া (১১) জেগে ওঠে চিৎকার দেয়। ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, তার পিতা তার মাকে গলা কেটে হত্যা করে। সে চিৎকার দিলে তার পিতা তাকেও গলায় ছুরি ধরে চিৎকার না দিতে বলে। পরে মোবারক পালিয়ে যায়। রাতে ছেলে মেয়ের চিৎকারে বাড়ির লোকজন সালেহার ঘরে গিয়ে তার জবাই করা লাশ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।
সালেহার পিতা হাছেন আলী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎই সালেহার সাথে তার স্বামী ঝগড়া করে মেয়েকে মারধর করত এবং হত্যা করার হুমকি দিত।
গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন জানান, স্বামী মোবারক হোসেন নরসিংদী এলাকার খাদিমারচর এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে। তাকে রাতেই গ্রেফতারে অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, স্বামী মোবারকের বিরুদ্ধে সালেহার পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মোবারককে আটক করতে পারলে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।