শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে-জাফরুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার: ভারতকে বাংলাদেশের সব সমস্যার সৃষ্টিকারী বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত হবে। আজকে আবরারের এই যে হত্যাকান্ড, তারা যেভাবে পারছে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী দল হিসেবে বিবেচিত হবে। সন্ত্রাসী দল হিসেবে ছাত্রলীগ জাতির জন্য কখনোই মঙ্গলজনক না।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল কর : রাষ্ট্রের ছাত্রছায়ায় গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ শীর্ষক এক মানববন্ধনে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিনডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, আকতার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি মো: নজরুল, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, ইউনছ মৃধা, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মো: আনোয়ার, সংগঠনের ঢাকা মমহানগর সদস্য সচিব কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ও ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা আকন্দ প্রমুখ।

জাফরুল্লাহ বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে, তা আমরা সারাজীবন মনে রাখবো। কিন্তু তাদের নয় মাসের সাহায্যের বিনিময়ে আমরা তো সারাজীবন তাদেরকে দিয়ে যেতে পারবো না। গত ৪৭ বছরে আমরা ভারতকে যা দিয়েছি তারও একটা হিসাব নেয়া দরকার।

রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমার নয় ভারত সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টিকারী মনে করি, আসলে তা নয়। মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টিকারী হচ্ছে ভারত।

তিনি বলেন, ভারত কিছুদিন আগে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে বাংলাদেশের বাজারে এই নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি করেছিল। শুধু তাই নয়, তারা সারা জীবন পানির সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছে। বাংলাদেশে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে সকল সমস্যার মূল সৃষ্টিকারী হচ্ছে ভারত। তারা একের পর এক আমাদের সমস্যা সৃষ্টি করছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সব সময় মানবতার কথা বলে। কিন্তু দেশে মানবতা কোথায়? গণতন্ত্র নাই, মানুষের অধিকার নাই, ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতে হয়ে যায়। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নাই, স্বাধীনভাবে কথা বললেই বুয়েটের ছাত্রের মত পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় তিনি বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

জাতিসংঘে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে অথবা নীরব থেকেছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ফেনী নদী থেকে কয়েক বছর ধরে তারা পানি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। একটা শ্রেণি অখন্ড ভারত চায়, আমাদের রক্তের বিনিময়ে। ১৯৭১ সালে ভারত আমাদেরকে যে সাহায্য করেছে, তা আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখব। সঙ্গে সঙ্গে মনে রাখার প্রয়োজন, ৯ মাসের সাহায্যের জন্য আমরা আজকে পর্যন্ত ভারতকে কত কিছু দিয়েছি, তার হিসাবটাও নেয়া দরকার। আজকে বাংলাদেশ যদি সাহায্য না করত, তাহলে ভারত দ্বিখন্ডিত হয়ে যেত। আমরা তাদের অখন্ডতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছি।

মানববন্ধনে আবরার হত্যার বিচার ও ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান অন্য বক্তরা। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে অর্ধশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ