শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় মাদরাসাছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনের স্বীকারোক্তি

খুলনা অফিস : খুলনার রূপসায় প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে মাদরাসা ছাত্রী (১৬) গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এছাড়া বাকী তিনজনকে একদিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার খুলনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাস এ আদেশ দেন। ওই ছাত্রী ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ইব্রাহিম শেখ জানিয়েছেন। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়া আসামীরা হলো-রূপসার শ্রীফলতলার শরীফুল ইসলাম (২১), আসাদুল মোড়ল (২০), কামরুল ইসলাম (১৮)। তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া রিমান্ডে থাকা আসামীরা হলো রূপসার শ্রীফলতলার নাঈম (১৮), বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের রিয়াজ (১৮) ও সাতক্ষীরার সোহেল (১৮)। গত ৩ অক্টোবর গণধর্ষণের সংবাদ পেয়ে খুলনা জেলা পুলিশের সুপার এস এম শফিউল্লাহ’র নির্দেশনায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে একরাতে খুলনার রূপসার শ্রীফলতলা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সাথে জড়িত এই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।  মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ওই মাদরাসা ছাত্রী মোরেলগঞ্জে নানা বাড়িতে থেকে একটি মাদরাসায় পড়া লেখা করে। তার মা থাকেন খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা ট্রাক স্ট্যান্ডের কাছে। মেয়েটি মায়ের কাছে বেড়াতে এসে, গত বুধবার তার প্রেমিক মোরেলঞ্জের নিয়ামুল নামের এক যুবকের সঙ্গে হাদীস পার্কে ঘুরতে যায়। এ সময় তার আট বছরের এক খালাতো ভাই সাথে ছিলো। নিয়ামুল মেয়েটিকে ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে রূপসার শ্রীফলতলার একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা বাকিদের মধ্যে দুইজন ও নিয়ামুল মেয়েটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। বাকিরা ছোট ছেলেটিকে পাশে ঘুরতে নিয়ে যায়। ঘটনার পর মেয়েটি বাসায় এসে তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-০৩)।

কলেজ ছাত্র মেহেদী খুনের আসামী গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি: নগরীর দোলখোলা এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসান (২২) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সৌরভ দত্ত (২০) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মহানগর হাকিম ড. আতিকুস সামাদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার এ জবানবন্দী রেকর্ড করেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই সন্ধ্যার দিকে নগরীর সাতরাস্তা মোড় এলাকায় কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসানের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয় ৬/৭ জন যুবকের। এর পরপরই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর দোলখোলা এলাকায় মেহেদী হাসানকে ছুরিকাঘাত করেগুরুতর জখম করে তারা। স্থানীয় কয়েকজন মেহেদীকে উদ্ধার করে খুলনা মেকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মেহেদী হাসান নগরীর বয়রাস্থ সাজেসটেক্যাল কলেজের কম্পউটার বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সে সদর থানাধীন বাগমারা মেইন রোডস্থ ওহাব সাহেবের  রাজমিস্ত্রি মামুন হাওলাদারের ছেলে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

রাসেল হত্যাকান্ডে আরও একজন গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি : নগরীর সোনাডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে শহিদুল ইসলাম রাসেল (১৮) হত্যাকান্ডে ঘটনায় রোহান (১৯) নামের আরও একজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মহানগর হাকিম ড. আতিকুস সামাদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন। রোহান বয়রা ১নং ক্রস রোডের কাজী বাড়ি মোড় এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। এর আগে গত শুক্রবার আরমান খলিফা (১৯) নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরমানও আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। আরমান সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা বস্তি এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো-সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন জামাই পাড়া কবির খাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. মুসার ছেলে ইনছান (১৯), সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার শাহাদাৎ এর ছেলে রুবেল (২০), সাগর ওরফে হাড্ডি সাগর (২২) ও আরমান (১৮)। মামলার বিবরণে জানা যায়, সোনাডাঙ্গা বয়রা নং ক্রস রোডের খাঁ বাড়ি কবীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রবি শেখ ওরফে রবিউলের ছেলে রাসেল গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় খুন হয়। ঐদিন ৬টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে বন্ধু দেলোয়ারের সাথে যাওয়ার সময় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন খাঁ বাড়ি মোড়ে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাসেলকে মৃত. ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত রাসেলের পিতা মো. রবি শেখ ওরফে রবিউল বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং-২। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই সোবাহান।  এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মমতাজুল হক জানান, আদালতে এজাহারভুক্ত আসামি আরমানের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে রোহানের নাম আসায় তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।  অর্ধকোটি টাকা প্রতারণার আসামী কালাম খান গ্রেফতার : ইটভাটা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণার মামলায় কালাম খান (৫৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। শনিবার বিকেলে আড়ংঘাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ঝালকাঠি জেরার নলসিটি উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের মৃত মালেক খানের ছেলে। এছাড়া কালাম খান রেলওয়ে পানির ট্যাংকি সংলগ্ন মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের মালিক।  মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, বাদীর ইটভাটায় জ্বালানী কয়লা দেয়ার নামে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করে আসামি কালাম খান। এ ঘটনায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ইটভাটা ব্যবসায়ী মো. খালেক নগরীর সদর থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন (নং-৫৩)। শনিবার বিকেলে আসামি কালাম খানকে গ্রেফতার করে সিআইডির এসআই মধুসুদন বর্মন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ