শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সম্রাটের বিষয়য়ে ধৈর্য্য ধরুন -র‌্যাবের ডিজি

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর পর র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদও ‘ধৈর্য্য’ ধরার কথা বললেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর পূজাম-প পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্রাট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেনজীর আহমেদ বলেন, আমি স্পেসিফিক কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইনা। আমরা ধৈর্য্য ধরি, সমস্ত কিছুর উত্তর পাবো।
সম্প্রতি সম্রাট প্রসঙ্গে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ওয়েট করেন, এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন।’
গত সপ্তাহে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা সম্রাট গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা তা শিগগিরই জানা যাবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অপেক্ষা করুন, আপনারা দেখবেন, খুব শিগগিরই দেখবেন।’
বনানীর পূজাম-প পরিদর্শন শেষে র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতিহারে কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার কথা বলেছেন। চলমান দুর্নীতি বিরোধী বা শুদ্ধি অভিযান অনেক বড় একটি বিষয়। এই অভিযানের সঙ্গে শুধুমাত্র র‌্যাব ফোর্সেস জড়িত না। আর এই অভিযানে র‌্যাব লিড এজেন্সি নয়। আমরা সহযোগী প্রতিষ্ঠান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারের নির্দেশে কাজ করছি। সামগ্রিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে কিন্তু অনেক এজেন্সি জড়িত। সেক্ষেত্রে আমি বলতে পারি চলমান অভিযানে র‌্যাব লিড এজেন্সি নয়।
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্যাসিনোর জন্য পুলিশ একা দায়ি নয়। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসাবে র‌্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাদের উপর দায় পড়ে।
এ বিষয়ে র‌্যাব ডিজির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আসলে আমি জানিনা উনি বলেছেন কিনা। উনি একজন অভিজ্ঞ পুলিশ কর্মকর্তা, উনার এই ধরনের মন্তব্য করার কথা না আমি যতটুক জানি। আমি ধারণা করব যে উনি এ ধরনের মন্তব্য করেন নাই। তাই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা সাতটি ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সর্বশেষ ম্যান্ডেট হচ্ছে সরকার যখন যা নির্দেশ দিবে তাই করব। সুতরাং সরকারের নির্দেশিত না হলে, সাধারণত আমরা ম্যান্ডেটের বাইরে গিয়ে কাজ করি না।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করব। যার যে দায়িত্ব আছে, আমরা সবাই সমন্বয় করে কাজ করব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সরকারের নির্দেশে যখন প্রয়োজন হবে, তখনই অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে র‌্যাব কাজ করব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর সুদূরপ্রসারী একটা প্রভাব দেশের মানুষ দেখতে পাবেন। এর সামগ্রিক প্রভাব দেশের সার্বিক উন্নয়নে পড়বে। আগামীতে দেশের সামাজিক ক্ষেত্রে থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রসহ অনেক কিছুতেই প্রভাব পড়বে। দেশবাসী সামনে  চমৎকৃত হবেন এবং এর সুফল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশের মানুষ পেয়ে যাবে। সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করি, অধৈর্য্য হওয়ার কোন কারণ নাই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ