শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ক্যাসিনো ও মালিকদের তালিকা হচ্ছে -ডিএমপি কমিশনার

 

স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধ ক্যাসিনো চালানোয় যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পরদিন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকায় আর কোথায় কোথায় ক্যাসিনো আছে এবং কারা সেগুলো চালায় সেই তালিকা তৈরি করছেন তারা। এসব ক্যাসিনো মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেছেন, তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

সম্প্রতি দলীয় এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ নেতাদের ‘অপকর্ম’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর বুধবার ঢাকার চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, প্রায় ৫০ লাখ টাকা এবং ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোয় গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের কার্যালয়ে এ বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

জুয়ার সঙ্গে মাদকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এসব বন্ধ হলে মাদকের ব্যবহার বন্ধ হবে। আমরা ক্যাসিনো ও জুয়ার আস্তানার সন্ধান করছি। তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কারা পরিচালনা করে থাকে তাদের নামও তালিকায় আনা হচ্ছে। যত প্রভাবশালী হোক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।”

পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় এ রকম অন্তত ১০টি ক্লাবে নিয়মিত ছোট-বড় জুয়ার আসর বসে। এছাড়া গুলশান ও বারিধারা এলাকায়ও কয়েকটিতে ক্যাসিনোর আদলে জুয়া চলে।

এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কয়েক দিন আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রতিটি বিভাগের উপ-কমিশনারদের নিজ নিজ এলাকায় কী কী অবৈধ কাজ হয় তার একটি তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তারা তালিকা দেওয়া শুরু করেছেন।

ঢাকা মহানগরীতে কোনো ধরনের জুয়া বা ক্যাসিনো চলতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, মাদক ও জুয়ার বিষয়ে ‘জিরা টলারেন্স’ নীতি নেওয়া হয়েছে।

মতিঝিল এলাকায় কতটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালানো হয় জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, আট থেকে ১০টি ক্লাবে এ ধরনের জুয়া চলে। সেগুলো আর চলতে দেওয়া হবে না।”

 কোনো বাসা-বাড়ি বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এসব চলে কি না সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, তার এলাকার বনানীর আহমেদ টাওয়ারে যেটা চলত সেখানে বুধবার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মালামাল জব্দ করেছে।“গুলশান ক্লাব ও বনানী ক্লাবে জুয়ার আসর বসত শুনেছি। তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।”

পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বারিধারায়ও কয়েকটি ক্যাসিনো চালানো হত, বুধবার অভিযানের পর সেগুলো বন্ধ রয়েছে। মতিঝিল এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি ক্লাব ঘুরে সবগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ