শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

স্বৈরাচার ও একনায়েকতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার শিক্ষা দেয় আশুরা -মাওলানা নূরী

বায়তুশ শরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা মামুনুর রশীদ নূরী বলেছেন, ইসলাম যুগে যুগে তার অনুসারীদের কাছে কুরবানী চায়, কুরবানী ছাড়া আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাই ইমাম হোসাইন (রা:) ইব্রাহীমের (আ:) কুরবানীর আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের উত্তরাধীকারী হিসেবে সেই আদর্শকে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে জীবন্ত করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইমাম হোসাইনের ইয়াজীদ বিরোধী অবস্থানের মুল লক্ষ ছিল রাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে খিলাফত ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য দুরাচার ও উচ্ছৃঙখল ইয়াজীদের সাথে আপস না করেই তাঁর এই আত্মত্যাগ মানব ইতিহাসে জীবন্ত আদর্শের সাক্ষর রেখেছে এবং তার পবিত্র খুন পৃথিবীর সকল খোদাদ্রোহী এক নায়েক, স্বৈরাচারীদের অগ্নিশিখা প্রজ্জলিত হয়ে উঠবে।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মোগলটুলী কলাবাগার বায়তুর রিদওয়ান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ এম এ কাশেমের সভাপতিত্বে অনষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির আলোচনায় উপরোক্ত কথা বলেন।
মাওলানা নূরী আরো বলেন, মহররম শুধু কান্না, মার্সিয়া ও আবেগ প্রকাশের মাস নয়। কারবালার মর্মান্তিক  ট্রাজেডির জন্য বুক চাপড়িয়ে হায় হুতাশ করার মওসুমও নয়। এটা সকল প্রকার অন্যায়, অসত্য ও স্বৈরাচারীদের হটিয়ে আত্মশক্তিতে বলিয়ান হওয়ার মাস। এ জন্য কারবালার এই মর্মান্তিক রক্তাক্ত ইতিহাস থেকে মুমিন মুসলমানদেরকে সকল স্বৈরতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের বিরোদ্ধে ঈমানী প্রতিরোধ গড়ে তোলার শিক্ষা নিতে হবে।
মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন অত্র মসজিদের খতিব মাওলানা মুহিব্বুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ মুছা, মাওলানা সিরাজুল হক নদভী, মাওলানা আবদুর রহমান ও মাওলানা খানে আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ