বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা পাথর খনির উৎপাদন ৫ মাস বন্ধ থাকার পর কার্যক্রম শুরু

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর: দেশের উত্তর অঞ্চলের দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া কঠিন শিলা পাথর খনির উৎপাদন ৫ মাস বন্ধ থাকার পর কার্যক্রম শুরু। মেশিনারিজ ত্রুটির কারণে প্রায় ৫ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল শিফট থেকে বন্ধ থাকা সকল কার্যক্রম শুরু করেছে খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। কাজে যোগদান করেছেন জিটিসি’র অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকরা। কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত হয়েছে পাথর খনি এলাকা।
প্রাপ্ত তথ্য জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন এবং রক্ষনাবেক্ষন  কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি খনির দায়িত্বভার গ্রহণ করে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পাথর খনির উৎপাদন ইতিহাসে রেকর্ড তৈরী করে এক মাইল ফলক সৃষ্টি করেছেন। খনি থেকে মাসিক ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ধারাবাহিক ভাবে মাসিক প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন শুরু করে পাথর খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।
কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসিকে কয়েক বার খনির উৎপাদন বন্ধ রেখে বিভিন্ন প্রতিকুলতা মোকাবিলা করতে হয়।  উৎপাদন শুরুর কয়েকমাসের মধ্যেই বিস্ফোরক সংকটে ্প্রায় ১ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকে । উৎপাদনের প্রায় দেড় বছরের মাথায় খনি উন্নয়ন কাজে বিদেশী মেশিনারিশ ও যন্ত্রাংশের অভাবে প্রায় ২ বছর খনি থেকে পাথর উত্তোলন ও উন্নয়ন কাজ বন্ধ রাখতে হয় জিটিসিকে। বিশ^মানের এবং অত্যাধুনিক বিদেশী মেশিনারিজ ও যন্ত্রাংশ আমদানীর পর জিটিসি খনির নতুন স্টোভ নির্মান করে মাসিক ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পুরো দমে কাজ শুরু করে গত মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে পাথর উত্তোলনের  লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে মাসিক প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টনে নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে স্কীপ উন্ডারের প্রিনিয়াম গিয়ার বক্স নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় জিটিসি। খনির একটি সুত্র জানায়, পাথর খনির বর্তমান ব্যবস্থাপানা পরিচারক মোঃ  ফজলুর রহমান গত ২১-০৭-২০১৯ ইং তারিখে মধ্যপাড়ায় যোগদান করার পর তিনি খনির বন্ধ সকল কার্যক্রম শুরুকে অগ্রাধিকার দেন। তিনি জিটিসি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অল্প সময়ের মধ্যে বৈঠকে বসেন এবং দ্রুত কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে তার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকের পর জিটিসি দ্রুত গতিতে সকল কার্যক্রম শুরু করে খনির চাকা সচল করেন। পাথর খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করার পর প্রায় আড়াই বছর খনি বন্ধ থাকার পরেও  জিটিসি এই সময়কালে পাথর উত্তোলন করেছে প্রায় ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন পাথর। পাশাপাশি করেছে স্টোপ উন্নয়নের কাজ। জিটিসি’র দ্বারা পাথর উৎপাদনের এই রেকর্ড লোকসানের ভারে প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম এই খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার আশার আলো দেখিয়েছে খনি এলাকার মানুষকে। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কাজে পাথরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনৈকি উন্নয়নে খনিটি অবদান রাখতে পারবে বলেও এলাকার সচেতন মানুষ মনে করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ