শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

হত্যা মামলার আসামীর হুমকি ধমকিতে মানববন্ধন হয়ে গেলো সংবাদ সম্মেলন!

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থলে কাঁটা তার ফেলে নাশকতার মামলা, ২টি হত্যা মামলা, ৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা, একটি অস্ত্র মামলা (জজ কোট থেকে সাজা প্রাপ্ত), একটি নারী নির্যাতন মামলাসহ ১১টি মামলার আসামী’র বিরুদ্ধে অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেও আসামী শাহাবুদ্দিন খান বাবুর হুমকি ধমকির ভয়ে লোকজন আসতে না পারায় পূর্ব নির্ধারিত মানববন্ধন হয়ে গেলো সংবাদ সন্মেলন। গতকাল শুক্রবার লৌহজংয়ের হলদিয়া বাজারে বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবে এ সংবাদিক সম্মেলন করে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য, স্বজন ও এলাকাবাসী।
সংবাদ সন্মেলনে ২০১২ সালে লৌহজং থানার কাজির পাগলা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন হত্যা মামলা বাদী ও তাঁর মেয়ে ওয়াহিদা খান দিয়া জানান, বাবু তার পিতাকে খুন করার পর বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। মোবারক হত্যা মামলার স্বাক্ষী মো. রফিকুল ইসলামকেও ২০১৩ সালে খুন করে বাবু। ২টি মামলারই সে প্রধান আসমী। এ ছাড়া তার বাড়ী থেকে অস্ত্র উদ্ধার মামলায় সে জজ কোট থেকে দশ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামী। ২০১৬ সালে শ্রীনগরের যশলদিয়া ওয়াটার ট্রিটমেনট উদ্ধোধনে আসার আগের দিন নাশকতার উদ্দেশ্যে পথে কাঁটা তার ফেলা হয়। সেই মামলারও সে আসামী। তার বিরুদ্ধে ১১টির অধিক মামলা থাকলেও প্রতিটি মামলায় সে জামিনে রয়েছে। জামিন পেয়েই সে নতুন নতুন সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আমাকে মামলা তুলে নিতে বার বার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত আমি থানায় বেশ কয়েকটি জিডি করেছি। তার ভয়ে উপজেলা কাজির পাগলা, মৌছা মান্দ্রা, গোয়ালী মান্দ্রা ও দক্ষিন পাইকসা গ্রামের এলাকাবাসী ভীত সশস্ত্র। অনেকেই বাবুর নীরব চাঁদাবাজীর শিকার।
আরেক ভুক্তভোগী পুতুল বেগম জানান, তার স্বামী একজন সিএনজি চালক। বিনা কারণে তার স্বামীকে লৌহজংয়ের কাজিরপাগলা এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী শাহাবুদ্দিন খান বাবু (পিস্তল বাবু) ও তার দলবল মেরে আহত করে। গত মাসাধিকাল ধরে বাবুর ভয়ে সে সিএনজি চালাতে পারছেনা। ভুক্তভোগি গাজী শাহ আলম বলেন, পিস্তল বাবুর সন্ত্রাস ও নাশকতায় আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ট। তার অত্যাচার হতে আমরা বাঁচতে চাই। হাজী মোয়াজ্জেম শেখ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে মারধর করে। তার ভয়ে এখন এলাকায় থাকাটা দায় হয়ে পড়েছে। আজকে (শুক্রবার) আমরা তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ডেকেছিলাম বিক্রমপুর প্রেস ক্লাবের সামনে। কিন্তু বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি ধমকিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনে আসতে সাহস পায়নি। তাই আমরা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা তার অত্যাচার হতে পরিত্রান চাই।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কাজির পাগলা গ্রামের আবু তাহের, আব্দুল জলিল, কাওছার শেখ প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ