বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

যানজটের কবলে সাতক্ষীরা শহর : ভোগান্তি চরমে

আবু সাইদ বিশ্বাস, সাতক্ষীরা: যানজট স্থায়ীভাবে রূপ নিতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা শহরে। সকাল থেকে শহরের প্রধান প্রধান প্রবেশ পথগুলোতে দীর্ঘ যানজট। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। যানজট নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিলেও যেন তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। দিনের পর দিন যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারের ঈদ যাত্রায় যানজট নতুন মাত্রায় ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক খুলে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। হয়তোবা ভোগান্তির মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে আশা সাতক্ষীরাবাসীর। সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথ ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে । ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সড়কের দু’পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা  উচ্ছেদ করা হয়েছে সেসব স্থানসমূহ এখনো ব্যবহারের অনুপযোগী। “সাতক্ষীরা শহরে পৃথক চারটি রুটের চারটি স্থানে তিন মিনিটের বেশি যাত্রীবাহী বাস থামবে না। শহরে কোনও অনিবন্ধিত ইজিবাইক ও ইঞ্জিনভ্যান চলবে না” এমন নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নিয়ম ভঙ্গ করলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী ও বিআরএ’র সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা থাকলেও জনগণ বলছে ভিন্ন কথা।জেলা প্রশাসন গত (১০ অক্টোবর) মাইকিং করে শহরের যানজট কমাতে বাইপাস সড়ক ব্যবহারের কথা জানিয়েছে। মাইকিং করে বলা  হয়েছে রবিবার থেকে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে  সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা রুটের নারকেলতলা মোড়ে তিন মিনিট, সাতক্ষীরা-যশোর রুটের কদমতলা মোড়ে তিন মিনিট, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ রুটের কামালনগর সঙ্গীতা মোড়ে তিন মিনিট এবং সাতক্ষীরা-আশাশুনি রুটের পৌর দিঘিরপাড়ে (পিএন স্কুল মোড়) তিন মিনিট যাত্রীবাহী বাস থামার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।  সাতক্ষীরা শহরের কোথাও কোন প্রকার অনিবন্ধিত ইজিবাইক বা ইঞ্জিনভ্যান চলতে পারবে না। কিন্তু সেটাও মানা হচ্ছে না বলে সর্বসাধারণের অভিযোগ। সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা শহরে বর্তমানে ইজিবাইক, ইঞ্জিনভ্যান ও মোটরভ্যানের সংখ্যা ১২ থেকে ১৫হাজার। এছাড়া অন্যান্য যানবাহনও আছে। আর শহরের বাইরে এর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ গুণ। সবাই এখন ঈদের কেনাকাটায় শহরমুখি। ফলে প্রতিনিয়ত শহরে যানজট বাড়ছে। এতে অবৈধ ইঞ্জিনভ্যান, মোটরভ্যান ও ইজিবাইকে ভরে গেছে শহর। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা শহরকে নান্দনিক রূপে গড়ে তোলা হবে। দখল ও দূষণ থেকে চিরমুক্তি দেওয়া হবে শহরকে। নদী ও খাল দখলমুক্ত করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রাণ সায়র খালের দু’ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান চলতে থাকবে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা নাগরিক সমাজের নেতারা। তাদের দাবী সাতক্ষীরা শহরকে বসবাসের উপযোগী করতে জেলা প্রশাসনের পাশে থাকবে সাধারণ জনগণ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ