শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় কলেজে ভর্তি না হতে পারা শিক্ষার্থীরা হতাশ

* নির্দেশনা না থাকায় বোর্ডে পাঠানো হচ্ছে
* বাড়তি খরচের পাশাপাশি বিড়ম্বনায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক
খুলনা অফিস : একাদশ শ্রেণিতে সরকারি পাইওনিয়ার কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় আঁখি আক্তার। শুধুমাত্র নিশ্চায়ন না করার কারণে ভর্তি নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কেবলমাত্র আঁখি আক্তারই নন এমন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পেরে ফিরছেন গন্তব্যে। কোনো নির্দেশনা না থাকায় শিক্ষার্থীদের বোর্ডে পাঠাচ্ছেন খুলনার অধ্যক্ষরা। বাড়তি খরচের পাশাপাশি বাড়ছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের ভোগান্তি। কর্মকর্তারা বলেছেন কোনো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে ভর্তির বাইরে রাখা হবে না।
জানা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে কলেজ নিশ্চায়ন, নিশ্চায়নের টাকা জমা না দেওয়া, আবেদনে ভুল থাকাসহ নানা জটিলতায় এ সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না। যার মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫শ ৫২ জন। আবেদনের মধ্যে মেধা তালিকা অনুযায়ী কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী। তিনটি ক্যাটাগরিতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হয়। প্রথম ধাপে আবেদন করার পর কলেজ পছন্দ না হলে ২য় বা ৩য় বার পর্যন্ত মাইগ্রেশনের মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের অজ্ঞতা কিংবা ভুলের কারণে কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না। এসব বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায় কলেজের অধ্যক্ষরা তাদেরকে সরাসরি বোর্ডে যাওয়ার জন্য বলেছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের হতাশার পাশাপাশি বাড়ছে তাদের ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তিও। বাড়তি খরচতো আছেই। এদিকে রোববার ভর্তির শেষ সময় থাকায় ভর্তি না হতে পেরে অনেক শিক্ষার্থীকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার বলেন, ভর্তির সুযোগ পেয়েও নিশ্চায়ন না করায় ভর্তির শেষ দিনেও কলেজে ভর্তি নেয়নি। এখন বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলেছেন। খুলনা সিটি কলেজে ভর্তি না হতে পারা ছাত্র ডালিম হোসেন বলেন, ভর্তি না নিলেও কী করতে হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাইওনিয়ার সরকারি মহিলা কলেজের ভর্তি হতে না পারা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, যারা ভর্তি নিচ্ছেন তারা কোনো কথাই বলছেন না। ফলে তারা নিজেরাই হতাশ হয়েছেন। যশোর বোর্ডে যোগাযোগ করতে বলেছেন। সেখানে যাওয়া আসাসহ রয়েছে ভোগান্তিসহ বাড়তি খরচও। শিক্ষার্থীরা যাতে ভর্তি হতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দীনবন্ধু মিত্র বলেন, যারা নিশ্চায়ন করেনি তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাদের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনাও নেই। তাদের শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টিএম জাকির হোসেন বলেন, এক্ষেত্রে তাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বোর্ডের সাথে কথা বলে জেনেছেন, ভর্তি না হতে পারা শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আর একটি সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানি বলেন, কেউ বলুক আর না বলুক তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আরও কিছু আসন খালি রয়েছে।  যে সকল শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেনি তাদের ক্ষেত্রে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যার কারণে অধ্যক্ষরাও দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না। বোর্ডেও শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা আসছেন। কোনো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে ভর্তির বাইরে রাখা হবে না। খুব শিগগিরই তাদেরকে কোন প্রক্রিয়ায় ভর্তি করানো হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ