বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ছাত্রদলের ক্ষেত্রে বয়সসীমা উঠিয়ে দেয়ার দাবি মেনে নেয়া সম্ভব নয় -গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা উঠিয়ে দেয়ার যে দাবি বিক্ষুব্ধরা করছে তা মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পুরান-নতুনের সমন্বয়ে স্বল্প মেয়াদি কমিটি গঠনের দাবিতে ছাত্রদলেরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচির পর গতকাল রোববার দুপুরে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি একথা জানান।
বিএনপির এ নীতি নির্ধারক বলেন, যারা আজকে কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়েছে তারা যদি এই পণ থাকে যে, আমরা ছাত্রদলই করবো- সেই ক্ষেত্রে এই দাবি মানাটা দলের পক্ষে কষ্টকর। অন্যায় দাবি তো মানা সম্ভব না কারো পক্ষে। যেমন অতীতে এটা হয়েছে- তাই হতে হবে। এটা থেকে আমরা পরিবর্তিত হবো না- এমন অঙ্গীকার থাকা তো ভালো না।
আমি বলতে চাই, যারা অবস্থান নিয়েছে তাদেরকে দল পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নাই। যারা অবস্থান নিয়েছে তারা রাজনেতিক ক্ষেত্র, রাজনৈতিক অবস্থানে তারা রাজনীতি করতে পারবে, করতে চাইবে- আমরা সেই সুযোগটা তৈরি করে দেবো এবং সেই ক্ষেত্রে তাদেরকে আমরা শতভাগ সহযোগিতা দেবো। এটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনিও দেবেন।
নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল ১১টা থেকে দুই ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্র দলের ভেঙে দেয়া কমিটির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। তাদের দাবি ছাত্র দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নেতৃত্বে আসতে বয়সসীমা নির্ধারনের যে শর্তারোপ করা হয়েছে তা তুলে দিতে হবে। যারা ২০০০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে তারা কাউন্সিলের নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবে। গত ৩ জুন ছাত্র দলের রাজীব আহসান ও আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেয় বিএনপি।
ছাত্রদলের চলমান সংকট উত্তরনের বিষয়ে জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্র দলের ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তটা আমরা নেইনি। গত ৪০ বছর যাবত যারা ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের সমন্বয়ে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হয়েছে। তারাই ভালো বুঝেন- ছাত্রদের জন্য কী করা দরকার?  ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি শুরু করে এবং তার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরবর্তি পর্যায়ে তারা অন্য রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়। আমরাও ছাত্র রাজনীতি করেছি, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং একাত্তরের যুদ্ধের পর আমাদেরও ছাত্রত্ব ছিলো না। আমরা যুব রাজনীতিতে আসছি। তারপরে জাতীয় রাজনীতিতে পর্দাপন করেছি। সুতরাং রাজনীতির পথ চলা সামনের দিকে লক্ষ্য। এখন আমি যদি পণ করি আজীবন ছাত্রদল করব, তাহলে আমি ছাত্র দল করলাম, তাহলে আমি তো রাজনীতির লক্ষ্যে পৌঁছালাম না।
তিনি বলেন, যারা ছাত্র নাই, তাদের ছাত্র রাজনীতি করার ইচ্ছাটা সঠিক না। যারাই দীর্ঘদিন ছাত্রদল করছে, আগামী দিন করতে পারবে না। তারা রাজনীতিতে তাদের ক্ষেত্র, তাদের অবস্থান সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের আছে। তারা যেন আগামীদিনে রাজনীতিতে আরো তাদের শ্রম মেধা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে- সেব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সচেতন। এই যৌক্তিক কথাগুলো তাদেও (বিক্ষুব্ধ) বুঝতে হবে। ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতি করবে এটাই সাধারণ মানুষের ইচ্ছা। যারা ছাত্র নাই তারা ছাত্র রাজনীতি করলে আপনারা (সাংবাদিকরা) মিডিয়ার মাধ্যমে নানা সমালোচনা করেন। এখন যদি চলে থাকে, সেখান থেকে আমরা আমাদের এই সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে পারবো না তাতো না। একদিন না একদিন উদ্যোগ নিয়ে আমাদেরকে যার যেখানে মানায় সেখানে থাকতে হবে- সেই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ