শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুবিধাবঞ্চিতদের পাশ কাটিয়ে ঈদ আনন্দ পূর্ণতা পাবে না -শিবির সভাপতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন বলেছেন, ঈদ আনন্দ ধনী-গরিব সবার জন্য। এখানে কোন বৈষম্য কাম্য নয়। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সুবিধাবঞ্চিতদের পাশ কাটিয়ে ঈদ আনন্দ পূর্ণতা পাবে না।
তিনি আজ রাজধানীতে ছাত্রশিবির আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, খুশির বার্তা নিয়ে ঈদ সমাগত। ঈদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে প্রত্যেকেই সাধ্যমত চেষ্টা চালালেও দেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ সুবিধাবঞ্চিত। যাদেরকে বরাবরই পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়। শুধু পাশ কাটিয়ে যাওয়া নয় বরং সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়ই দেশে দরিদ্র মানুষ নেই বলে ঘোষনা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি উপহাস করা হচ্ছে। অথচ দেশে এখন বহু মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রমজানেও বহু দুস্থ অসহায় মানুষের খাদ্যকষ্টে থেকে রোজা থাকার করুণ চিত্র গণমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী দেখেছে। সামাজিক বৈষম্যের কারণে অসহায় গরীব মানুষরা দিন দিন দারীদ্রের চরম মাত্রায় পৌঁছে যাচ্ছে। ঈদে সমাজের বিত্তবানদের সম্পূর্ণ অংশ দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন না। অথচ রমজান আমাদের সমাজে সাহায্য-সহযোগিতা, সমবেদনা, সহমর্মিতা প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়। ঈদ সবার জন্য ও সার্বজনীন উৎসব। এ আনন্দে দরিদ্র মানুষগুলোকে অসহায় দর্শক বানানো নিতান্তই অমানবিকতা।
তিনি বলেন, সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট অনুধাবন করার মোক্ষম সময় হচ্ছে মাহে রমযান। মাহে রমযান আমাদের ত্যাগ-কুরবানীর প্রশিক্ষণ দেয়। সেই প্রশিক্ষণের উত্তম প্রতিফলন হবে যদি সমাজের সবাই যার যার পাশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে পারি। ইসলামের সামাজিক শিক্ষাও এটাই। দেশের অবহেলিত মানুষের প্রধান অভিভাবক রাষ্ট্র। বিত্তশালীদের উপর গরীবের হক আল্লহ প্রদত্ত। তাদের পাশ কাটানোর প্রবণতা অমানবিক। সরকার ও বিত্তশালীরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে সহজেই ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পেতে পারে। ছাত্রশিবির সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে সাধ্য অনুযায়ী প্রতিবছরই অসহায় দুস্থ মানুষদের সহায়তা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ছাত্রশিবির আশা করে, একইভাবে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সবার মাঝে ঈদ আনন্দ যেন সমানভাবে ছড়িয়ে যায় সেজন্য সামর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অসহায় দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তা করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ