শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ধর্ষণের অভিযোগ আবাসন প্রকল্পের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার : পুরনো মামলায় আপসের কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে।
ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ ওই ঘটনায় মামলার আর্জি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার নয় নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যান। পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে উত্তরা পশ্চিম থানাকে নির্দেশ দেন। যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি হলেন উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল ইসলাম সোহেল (৪০)।
এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তা পারভীন আক্তার (২৯),কাজী সামছুর রহমান (৪০) হারুন অর রশিদ বাবুর (৪০) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগও করেছেন তিনি। তার আরজিতে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগও আনা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী শুভ্র সিনহা রায় রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরজিতে বাদী বলেছেন, গাজীপুরে তিন কাঠা জমি কেনাবেচায় প্রতারণা অভিযোগে ব্রাইট ফিচার হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা রয়েছে, যার বাদীও তিনি। এই মামলাটিতেও রেজাউল ইসলাম সোহেলসহ আরও কয়েকজন আসামি।
গত ২৩ এপ্রিল প্রতারণার ওই মামলায় হাজিরা দিতে এসে বাদীকে আপসের প্রস্তাব দেন রেজাউল।
বাদীর অভিযোগ, প্রস্তাবে রাজী হলে পরদিন কথা মতো তিনি উত্তরা পশ্চিম এলাকার সেক্টর সাত এর পাঁচ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাড়িতে রেজাউলের প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে তাকে প্রতারণার মামলা তুলে নিতে বলেন রেজাউল। তিনি রাজি না হলে আসামিরা তাকে একটি কক্ষে আটকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে রেজাউল তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পারভীন আক্তার মোবাইলে ফোনে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করেন। তিনি ওই কক্ষ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও অন্যরা তাকে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।
আইনজীবী শুভ্র সিনহা বলেন, মামলায় বাদী ছাড়াও আরও তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ