শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে কক্সবাজারের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত শিশুদের চোখের অস্ত্রোপচার শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার স্থানীয় শিশুদের চোখের অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। গতকাল  ২২ মে বুধবার সকালে ৫ শিশুর সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এদের চোখে ছানিজনিত সমস্যা ছিল। এরা হল শিশু শাহীন (২.৫), মবিন (২), রেজাউল করিম (৭), অন্তরা সরকার (৮) ও জেসি মণি (১৪)।  কক্সবাজার জেলার কয়েকটি হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসা সেবা থাকলেও শিশুদের চোখের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা না থাকায় চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে এই কার্যক্রম চালু করা হয়। শিশুদের অস্ত্রোপচার করেন চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মেরাজুল ইসলাম।
কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের আর্থিক সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের তত্বাবধানে এই অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। এতে টেকনিক্যাল সার্পেট দিচ্ছেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।
প্রায় দুই বছর বয়সে খেলার সময়ে বাম চোখে আঘাত পায় শিশু রেজাউল। কিন্তু কক্সবাজারে শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ও আর্থিক সমস্যার কারণে চোখের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেনি রেজাউলের বাবা-মা। একই সমস্যার কারণে শাহীন, মবিন, অন্তরা ও জেসির চিকিৎসা হয়নি। ফলে তাদের কয়েকজনের লেখাপড়া বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি তারা অন্ধত্বের ঝুঁকির মধ্যে ছিল।
শিশু অন্তরা সরকারের মা বলেন, ‘আমরা অনেক আনন্দিত। এতদিন সন্তানের চোখ নিয়ে যে দুঃশ্চিন্তা ছিল তা এখন অনেকটাই কেটে গেছে। আমরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সন্তানদের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে।’ শিশুদের অভিভাবকরা আরো বলেন, ‘এই চিকিৎসার ফলে আমাদের সন্তানদের সঠিক ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়েছে।’
এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৫ জন শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি ঔষধসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়। এতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়েছেন কিউসিভি এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নিলুফার ইয়াসমিন, অপটোমেট্রিস মোহাম্মদ নঈম উদ্দীন ও কক্সবাজার বায়তুস শরফ হাসপাতালের ভলান্টিয়ার পলেন চাকমা।  এর আগে অরবিস স্থানীয় জনগণের চক্ষু চিকিৎসার জন্য নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিশুদের চোখ পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করে। রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য কক্সবাজার বায়তুস শরফ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চটগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ হাজার স্থানীয় শিশুর চোখ পরীক্ষার পাশাপাশি প্রায় ১০০০ শিশুকে চশমা প্রদান কর হয়। শিশুদের এই অস্ত্রোপচার কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ