শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এবারও বাজিমাতের অপেক্ষায় মুকুল

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ জেলার তিন উপজেলার নির্বাচন শেষ হয়েছে। বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিলও ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে এই উপজেলা নির্বাচন। দলীয়ভাবে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেও দলের সমর্থন নিয়েই উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। আসন্ন নির্বাচনে জনগণের ভোটেই পুনরায় নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। টানা দুইবার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলেও বন্দর উপজেলা নির্বাচনে দুইবারই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। সর্বশেষ গত ২০১৪ সালে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল ১৯ হাজার ৫৪৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন প্রধান পেয়েছিলেন ১১ হাজার ১৩২ ভোট। ১০ হাজার ৮৮১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ সালাম। অন্যদিকে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ ৯ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। এবারও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে যেকোন একজন পাবেন মনোনয়ন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে এবারও বাজিমাতের অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আতাউর রহমান মুকুলের অবস্থান বেশ শক্ত। সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে বিভিন্ন প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। নিজের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে না থেকে সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি ভোট প্রার্থনা করেছেন। সে অনুযায়ী জেলার প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার ওসমান পরিবারেরও আলাদা সমর্থন থাকবে তার পক্ষে।
তাছাড়া বন্দরে আতাউর রহমান মুকুলের বলয়ে রয়েছে বিশাল কর্মীবাহিনী। বিশেষ করে বন্দরের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও মুকুলের পক্ষে যা আসন্ন নির্বাচনে তার জন্য সুবিধাজনক। নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আতাউর রহমান মুকুল প্রেস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, আমি জনগণের চাহিদার কারণেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। দলের সমর্থন নিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো। আমার বিশ্বাস, জনগণ আমার বিগত কর্মকান্ডের বিবেচনায় পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। প্রসঙ্গত, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয় গত ৩১ মার্চ। বাকি ছিল বন্দর ও সদর উপজেলা। বন্দরের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও সীমানা জটিলতায় মামলা থাকায় সদর উপজেলায় নির্বাচন অনিশ্চিত। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২১ মে, যাচাই-বাছাই ২৩ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩০ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৩১ মে এবং ওই দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ