শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

১৫ বছর পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরেই স্ত্রীর হাতে খুন

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা : ১৫ বছর পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরেই খুন হলেন যশোরের বেনাপোল ধান্যখোলা গ্রামের জামাল হোসেন (৩৫)। বাড়ি পৌঁছানের মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনা ঘটে। এ খুনের জন্য স্ত্রী ,শাশুড়ি ও শ্বশুরকে সন্দেহ করছে এলাকাবাসী। যে কারনে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সন্দেহ ভাজন ৩জনকেই আটক করেরছে। স্ত্রীর লাগামহীন পরকিয়া ও স্বামীর পাঠানো অর্থ আত্মস্বাতের জের ধরেইএই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে।  এলাকা সূত্রে জানাগেছে, একাধিক পরকীয়া প্রেমের নায়িকা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশ থেকে আসা স্বামী জামাল হোসেনকে (৩৬) দেশে আসার মাত্র ১০ ঘন্টা পর প্রেমিকদের সহযোগিতায় কুপিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বুধবার কষ্টের টাকায় তৈরি নিজ বাড়ির বেড রুমে স্ত্রী আয়েশা তার স্বামীকে কতিথ প্রেমিক ও নিজ বাবা মায়ের সহযোগিতায় হত্যা করেছে। এঘটনায় তাৎক্ষনিক পুলিশ হত্যাকান্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য নিহতের স্ত্রী আয়েশা ও তার মা-বাবাকে আটক করেছে। নিহত জামাল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।আটককৃতরা হলো- নিহত জামালের স্ত্রী আয়েশা খাতুন, শশুর রিয়াজুল ইসলাম টুকু ও শাশুড়ী ফুলবুড়ি। এ ব্যাপারে নিহতর বাবা হবিবার রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মালয়েশীয়া থাকত। একই গ্রামের রিয়াজুলের মেয়ে আয়েশার সাথে প্রায় ১৫ বছর আগেই তার বিবাহ হয়। আর বিগত এই ১৫ বছরে তার ছেলে মালায়েশীয়া থেকে মাত্র ৩ বার বাড়ি এসেছে। এর মধ্যে গত তিন বছর আগে আয়েশা তার স্বামীকে মারতে স্বামীর শরীরে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে দেয়। এ সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারনে সে যাত্রায় সে প্রানে রক্ষা পায়। অভিযোগ রয়েছে স্বামী বাড়ি না থাকার কারনে স্ত্রী আয়েশা এলাকার বিভিন্ন ছেলের সাথে প্রেম করত। প্রায় কারো না কারো সাথে সে মোটর সাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুই তিন দিন পর বাড়ি ফিরত। নিহত জামাল বিদেশে থেকে নিজ গ্রামে যে বাড়ি তৈরী করেছে সেই বাড়িতে আয়েশা ও তার মা বাবা বসবাস করত। জামাল মালয়েশীয়া থেকে গত পরশু মঙ্গলবার বাড়ি ফেরে দুপুর বেলা ২টার সময়। আর এ দিন গত রাত ১২ টার দিকে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বুকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তবে জামালের স্ত্রী কার সাথে প্রেম কর এমন প্রশ্নে জামালের পিতা এলাকার লোকের বাধার মুখে নাম বলতে অস্বীকার করে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, হত্যার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। তিনি জানান লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ