তাড়াশে বোরো ধানে পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা
শাহজাহান তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ): সিরাজগঞ্জে তাড়াশে ইরি বোরো ধানের কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। জানা যায় চলনবিল খ্যাত ধন ভান্ডারের শ্রেষ্ঠ স্থান , এখন পুরা এলাকা জুড়ে সবুজ শ্যামলে আর পাকা ধানের সোনালী আভায় বিরাজ করছে প্রাকৃতির অমীয় বিচিত্র শোভা। অনেক কষ্ট্ েরোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করে তাড়াশের কৃষকেরা মাঠে ফসল ফলায়েছিল। এই বোরো ফসলিই তাদের একমাত্র সম্বল। ইতি মধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষকরা কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। সিরাজগঞ্জে তাড়াশের হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান আমাদের মুখের আহার ধান কাটার আর কয়েক দিন বাকী এ সময় কারেন্ট পোকার আক্রমন হয়েছে। বিভিন্ন রকম কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন কাজ হচ্ছেনা। বীজ তলা তৈরির পর থেকেই একের পর এক বিপদ যেন কাটছেই ন্ া উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের বিশ্বরোড সংলগ্ন ৮নং ব্রীজের দক্ষিনে হাফিজুর রহমানের ৫ বিঘা ,নজরুল ইসলামের ১২ বিঘা, আঃ হাকিমের ৭ বিঘা, দেলবরের ৮ বিঘা,আঃ জলিলের ২ বিঘা,খা পাড়ার হেরোর ১১ বিঘা সহ শত শত বিঘা জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমনে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরে জমিনে পোকার আক্রান্ত জমি ও কৃষকদের সাথে দেখা করতে গেলে অনেক কৃষকরা ক্ষোভে দুঃখে বলেন তাড়াশ উপজেলায় কৃষি অফিস আছে বলে মনে হয়না। তাড়াশ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়,এবার তাড়াশ উপজেলায় ইরি বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ২২হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর রোপন করা হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর। মাঠে ফসলও হয়েছিল বেশ ভাল ,কিন্তু কারেন্ট পোকার আক্রমণে হতাশার মধ্যে কৃষকরা দিন কাটাচ্ছে।এদিকে তাড়াশে উত্তরাঞ্চলে পুরা বোরো ধান কাটার মওসুম চলছে। গত কয়েক দিনের একটানা বৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে সব গুলো ধান মাটিতে শুযে পড়েছে। তাড়াশের তালম ইউনিয়নে গুল্টা গ্রামের আবুল হোসেন ও মাধাই নগর এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক আঃ বারিক জানান ,বোরো ধান কাটার পুরো মওসুম কিন্তু কাজের লোকের খুবই অভাব দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংকট ও চড়া মজুরীতে নাজেহালের মধ্যে হাবু ডুবু খাচ্ছে কৃষকরা তার পর ধানের দাম নাই। ওদিকে চড়া সুদের মহাজনরা ঋণ আদায়ের জন্য বার বার ত্কাাদা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ জানান অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান বোরো জমিতে কারেন্ট পোকার কথা শুনেছি, মাঠে বি এসরা কাজ করছে।