শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নবাবগঞ্জে নদী খননের কাজে সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে নদী খনন করাকে কেন্দ্র করে  সংঘর্ষে ঘটনায় উপজেলা  চেয়ারম্যানসহ ৩৮ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। থানা পুলিশ হেলাল ও রাজু  নামক ২ জনকে  গ্রেফতার করেছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগকৃত ঠিকাদার নবাবগঞ্জ থানাধীন ৮ নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত মোগড়পাড়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন মাহেলা করতোয়া নদী ৩০ এপ্রিলএ  খননের কাজ শুরু করে। স্থানীয় সচেতন জনসাধারণের নিকট খনন কাজটি নি¤œমানের মর্মে প্রতীয়মান হওয়ার ১ লা মে বিকালে মামলার বাদী সোহেল রানাসহ স্থানীয় কয়েক জন খনন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের পক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে সাফিউল আলম পিলুকে কাজের মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাদের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে সে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে তার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কথা না শুনে আমাদের উপর তার লোক হামলা করে এবং চেয়ারম্যানের কাছে থাকা শর্টগান দিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলী ছোড়ে। এতে বাদীর সাথে থাকা লিটন ও রন্জু গুলীবিদ্ধসহ আহত ৬। নবাবগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে ও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমি নদী খননের কাজটির উদ্বোধন করেছিলাম। ২০/৩০ জন অবৈধ সুযোগ নেয়ার উদ্দ্যেশে ঠিকাদারের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকেসহ ৭ নং দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল আজিম সোহাগ, শাফিউল ইসলামসহ ৭/৮ জনকে গুরুতর আহত করে এবং স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ দিনাজপুরে চিকিৎসাধীন আছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ