শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

‘আসামে এনআরসি হালনাগাদ করার নামে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে’

৬ মে, ইন্টারনেট : জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) হালনাগাদ করার নামে সমাজের একটি অংশকে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আমসু)। গত শনিবার আসামের গৌহাটিতে আমসুর সদর দফতরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ছাত্র সংগঠনটির উপদেষ্টা আজিজুর রহমান বলেন, এনআরসির নামে ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এমন অনেক ঘটনা দেখা গেছে যেখানে (পড়ুন ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের বিরুদ্ধে) মানুষের দাখিল করা দাবি ও অভিযোগগুলো পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর। কারণ কারা এসব অভিযোগ দায়ের করেছে এবং কেন কিছু বুঝা যায় না।

আজিজুর উল্লেখ করেন, মানুষ দাবি ও আপত্তি জানাচ্ছে কারণ কিছু স্থানীয় সংগঠন তাদের উপর চাপ দিচ্ছে।

তিনি একটি ঘটনা উল্লেখ করে দেখান যে অল বোড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আবসু) পক্ষে কোকড়াঝার জেলার চিত্তরঞ্জন নারজারি ও দুর্জয় গয়ারি ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘু জনগণের বিরুদ্ধে দাবি ও আপত্তি পেশ করেছেন।

ছাত্র নেতাটি আরো বলেন, গত ২ মে নারজারি ও গয়ারি কোকড়াঝার জেলার ডিসি অফিসে উপস্থিত হয়ে যখন জানান যে তারা তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নিতে চান তখনই আবসুর মতো সংগঠনগুলোর নোংরা চক্রান্তের বিষয়টি আলোতে আসে। আবেদনের একটি কপি তুলে ধরে আজিজুর বলেন, এই দুই ব্যক্তি জানিয়েছে যে তাদেরকে আবসুর নাড়াবাড়ি আঞ্চলিক কমিটির কয়েকজন সদস্য বাধ্য করছে এই আপত্তি পেশ করতে। তারা জোর করে আবেদন পত্রে তাদের সই নিয়েছে।

ওই ছাত্র সংগঠনটির এহেন কাজের মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে আমসুর কর্মকর্তা বলেন যে আরো অনেক সংগঠন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হয়রানি করার জন্য আবসুর মতো অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

আজিজুর উল্লেখ করেন, যারা ছাদের উপর থেকে বিদেশী ইস্যু সমাধানের জন্য চিৎকার করছে তারা আসলে সমস্যাটি সমাধানের জন্য আন্তরিক নয়। জনগণের একটি অংশ বিদেশী ইস্যুটি জিইয়ে রাখতে চায়। আর সে কারণেই তারা এ ধরনের নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ