আগৈলঝাড়া সংবাদ
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গভীর রাতে তিন বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে চুরি করে নিয়েছে চোরের দল। জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম তালুকদারের ঘরের সিধ কেটে চোরের দল ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যায়। একই বাড়ির কালাম তালুকদারের বড় ভাই নজরুল তালুকদারের ঘরের সিঁধ কেটে চোরের দল ঘরে ঢুকে একটি দামী মোবাইল সেট নিয়ে যায়। অপরদিকে একই রাতে নয়ন আকনের বাড়িতে ঘরের সিধ কেটে চোরের দল। কিন্তু বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় চোরের দল ঘরে ঢুকতে পারে নাই। এবিষয়ে থানাকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।
প্রবীণ-প্রতিবন্ধী
আগৈলঝাড়ায় বেসরকারি সংস্থা কারিতাস বরিশাল অঞ্চল এর আয়োজনে প্রবীণ-প্রতিবন্ধী ও মাদকাসক্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গৈলা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে প্রবীণ প্রতিবন্ধী ও মাদকাসক্ত হিতৈষি ক্লাবের ফোরাম সভাপতি শ্যামল হালদারের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিধি ছিলেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন, গৌরনদী ক্যাথলিক চার্চের ফাদার মিন্টু শ্যামল বৈরাগী, সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী, প্রদীপ রায়, এসডিডিবি প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা পল রায়, এনিমেটর লিলা বিশ্বাস প্রমুখ।
পিতাকে অর্থদন্ড
আগৈলঝাড়ায় বাল্য বিবাহে উদ্বুদ্ধ করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কনের বাবাকে অর্থ দন্ড করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মানসী ফুল্লশ্রী গ্রামের কাঞ্চন ফকির তার স্কুল পড়–য়া মেয়ে আঁখি আক্তার (১৬) কে বিবাহ দেওয়ার সবধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে। সোমবার বিকেলে কাঞ্চন ফকিরের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন শুরু হলে সংবাদ পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিপীকা রানী সেন থানা পুলিশের সহায়তায় কনে আঁখি আক্তার ও তার পিতা কাঞ্চন ফকিরকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বাল্য বিবাহে উদ্বুদ্ধ করার অপরাধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস কনের বাবা কাঞ্চন ফকিরকে ৩ হাজার টাকা অর্থ দন্ড করে অব্যাহতি দেন।
কন্যাকে পিটিয়ে আহত
আগৈলঝাড়ায় বাড়ির উঠানে ধানের খড় বিছানোকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে আহত হয়েছে স্বামী-স্ত্রী ও তার বিবাহিত মেয়ে। গুরুতর আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের বারহাজার গ্রামের শাহ আলম তালুকদার ও আক্তার তালুকদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার শাহ আলমের স্ত্রী মাকসুদা বেগম উঠানে খড় বিছানো শুরু করলে প্রথমে প্রতিপক্ষ আক্তার তালুকদারের স্ত্রী বাধা নিষেধ করে। এক পর্যায়ে আক্তার তালুকদার, তার ছেলে মামুনসহ ৫-৭জনে মিলে মাকসুদাকে মারধর শুরু করে এসময় মাকসুদাকে রক্ষা করতে আসলে তার স্বামী শাহ আলম তালুকদার ও বিবাহিত মেয়ে সাথীকেও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। গুরুতর আহত মাকসুদাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করা হয়েছে।