তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার : হত্যার হুমকি, মারধর ও জামা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ ছয় নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ. বি. সিদ্দিকী। গতকাল রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত সিদ্দিকীর অভিযোগ তদন্ত করে ঢাকার বংশাল থানার ওসিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পেশকার গৌতম চন্দ্র দাস।
আদালত আদেশে বলেছেন, সত্যতা নির্ণয়ের জন্য বাদী সিদ্দিকীর অভিযোগের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আদালত সূত্র বলছে, এ. বি. সিদ্দিকী সকালে আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেন। সিদ্দিকীর ওই জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান। সিদ্দিকী আদালতের কাছে দাবি করেন, গত ৩০ এপ্রিল একটি মামলায় ঢাকার আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। এ জন্য তিনি ওই দিন সকালে পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার মোড় দিয়ে আদালতের দিকে হেঁটে আসছিলেন। এ সময় তার সামনে এসে দাঁড়ায় অজ্ঞাত চার-পাঁচজন ছেলে। তারা সিদ্দিকীকে হুমকি দিয়ে বলে, তুই আমাদের মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিস। এক মাসের মধ্যে সব মামলা তুলে নিবি। তা না হলে নুসরাতের মতো তোর গায়ে আগুন দেব। এ সময় তারা আমার গায়ের মুজিব কোট খুলে ফেলে।
এ. বি. সিদ্দিকী লিখিতভাবে আদালতকে আরও বলেন, হামলাকারীরা বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে ও আমাদের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে প্রস্তাব দিচ্ছি, এক মাসের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে তোর পরিণতি হবে ভয়াবহ। মামলা তুলে না নিলে তোর সরকার আমাদের হাত থেকে তোকে বাঁচাতে পারবে না। নালিশি মামলায় আরও বলা হয়, হত্যার হুমকি দিয়ে অজ্ঞাত বিএনপির ওই পাঁচজন ব্যক্তি তাঁর কাছে থাকা ২ হাজার ২০০ টাকা কেড়ে নেয়। যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে বলে, তুই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছিস। তোর মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছে না।
আদালত সূত্র বলছে, জননেত্রী পরিষদের এ. বি. সিদ্দিকী এর আগে খালেদা জিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপির একাধিক নেতার নামে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন। সেসব মামলা এখন ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং অজ্ঞাত পাঁচজন।