কালিহাতীতে রাইস মিলের আড়ালে অবৈধ সিগারেট কারখানা সিলগালা
এম এম হেলাল ,কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাইস মিলের আড়ালে অবৈধ সিগারেট কারখানা সিলগালা ও সিগারেট তৈরীর বিপুল পরিমাণ কাচাঁমাল জব্দ করেছে কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ঢাকা পশ্চিম বিভাগ। ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টায় উপজেলা সদরের কামার্থীতে অবস্থিত শাকিল অটো রাইচ মিলে অবৈধ সিগারেট কারখানায় ভ্যাট কমিশনারেটের ঢাকা পশ্চিম বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুস সাদেকের নেতৃত্বে অভিযান চালায় কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের ঢাকা পশ্চিম বিভাগ। এ সময় অবৈধ সিগারেট কারখানাটি সিলগালা ও সিগারেট তৈরীর বিপুল পরিমাণ কাচাঁমাল জব্দ করা হয়। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াস হোসেন জানান, এ অটোমেটিক মেশিনে যে কোন নামি-দামী ব্র্যান্ডের দেড় থেকে দুই মিলিয়ন সিগারেট দৈনিক উৎপাদন করা সম্ভব। কারখানার দাড়োয়ান শফিকুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সিগারেট তৈরী হতো এবং শেষ রাতে একটি গাড়ি ঢাকা চলে যেতো, আরেক গাড়ি গোডাউনে ঢুকতো। দাড়োয়ান শফিকুলের তথ্যমতে পার্শ্ববর্তী একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে সিগারেট তৈরীর বিপুল পরিমাণ কাচাঁমাল উদ্ধার করা হয়। রাজশাহী থেকে আসা হাসান ও মুকুল পরিচালনা করত এই কারখানাটি। স্থানীয় ব্যবসায়ী কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত মেসার্স পার্টস কর্ণারের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ শাহ আলমের পৃষ্ঠপোষকতায় এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালিত হতো। হাসান ও মুকুল যে বাসায় থাকতেন সেখানেও অভিযান চালিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। ভ্যাট কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুস সাদেক জানান, দাড়োয়ান শফিকুলের তথ্যের ভিত্তিতে ও কারখানা থেকে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত, কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনীর করিম টোব্যাকো নামে কিছু ডকুমেন্টস পরীক্ষা, তদন্ত করে প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে কারখানার সকল মেশিন ও যন্ত্রপাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করে দেন ভ্যাট কর্মকর্তারা।