শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এনায়েতপুরে বৈশাখী মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীল যাত্রা

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : বৈশাখী মেলার নামে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুর গুচ্ছগ্রামে চলছে জুয়া ও অশ্লীল যাত্রাপালা। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হওয়া জুয়া ও যাত্রা পালায় সন্ধ্যা থেকে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সেই সাথে মেলার আড়ালে চলে মাদক বিক্রি ও সেবন। চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী সহ উঠতি বয়সীরা এখানে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। 

সোমবার রাতে সরেজমিন দেখা গেছে, জালালপুর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম আবাসন প্রকল্পের পশ্চিম পাশে খেলা মাঠে যাত্রা মঞ্চটি উন্মুক্ত নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে চলছে যৌন উত্তেজক গানের তালে তালে নগ্ন ড্যান্স। আর পাশেই বিশাল কাঠের চকি পেঁতে লাইটিং দিয়ে চলছে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, তরুন যুবক থেকে শুরু করে সব বসয়ী মানুষকে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। মেলায় আগত রুপসি গ্রামের রুবেল ও হাসান আলী জানান, তারা দুই বন্ধুই এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। বৈশাখী মেলার কথা শুনে বেড়াতে এসে জুয়া ও যাত্রা দেখে হতবাক তারা। দুই দিন ধরে মাইকের উচ্চ গানের শব্দে পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সৈয়দপুরের মৃত সোরহাব হাজীর ছেলে প্রভাবশালী রফিকের নেতৃত্বে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেলার আয়োজকরা এতোটাই বেপরোয়া যে নামাজের সময় তাদের মাইক বন্ধ করে না। এছাড়া দিনব্যাপী চলে গ্রামের পথে পথে মাইকিং। আর সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত অবধি চলে লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা ও নগ্নযাত্রা। এ নিয়ে ক্রমশ মানুষ খুব্ধ হয়ে উঠছে। তবে আশ্রায়ন প্রকল্পের মানুষ গুলো অসহায় হত-দরিদ্র হওয়ায় তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না, তারা ভাঙ্গা ঘরে নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন। এব্যাপারে রফিক জানান, বৈশাখী মেলা সারা দেশে চলছে। এখানে চললে সমস্যা কি? আর মেলায় একটু আধটু খেলা চলবেই। মেলার আয়োজক কমিটিতে গ্রামের অনেকেই রয়েছে, আমি শুধু একা নয়। সবাইকে ম্যানেজ করেই করা হচ্ছে।

এবিষয়ে জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে, আমার কিছুই করার নেই। পারলে আপনারা (সাংবাদিক) জুয়া বন্ধ করে দেন আমার কোন আপত্তি নেই। তবে এনায়েতপুর থানার ওসি মাহবুবুল আলম জানান, যাত্রা জুয়া চলার খবর আমাদের কাছে নেই। অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন খান জানান, সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ