শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ১১ কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৯৬ পিস (১১কেজি) স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত দিদারুল আলম নামে মাস্কাট থেকে আসা এক যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ী চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় এফজেড-৫৮৯ বিমানের ফ্লাইটের যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে বিমানবন্দর নিরাপত্তা কর্মীরা বারগুলো উদ্ধার করা করে। পরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা ওই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী খায়রুল কবির বলেন, সকাল ১০ টা ২৮ মিনিটে দুবাই থেকে আসা ফ্লাই দুবাইয়ের যাত্রীদের নিয়মিত তল্লাশির সময় স্ক্যানে সোনার বারগুলো ধরা পড়ে।  জব্দ করা স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি টাবা বলে জানাগেছে। এর আগে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ বিমানের টয়লেট থেকে ১২ কোটি টাকা মূল্যের ৩শ পিস স্বর্ণের চালান আটক হয়। এঘটনায় জড়িত বিমানের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়।
কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামী নিহত
চট্টগ্রাম মহানগর বাকলিয়া থানা এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. সাইফুল (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় কথিত এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল বাকলিয়া থানার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার রফিক আহমদের ছেলে এবং একই থানায় সংগঠিত একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামী। সে এলাকায় কিশোরদের কাছে ‘বড়ভাই’ হিসেবে পরিচিত বলে জানায় পুলিশ। বাকলিয়া থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, গত সোমবার ফটিকছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি নিহত লোকমান হোসেন জনি হত্যার মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ও জিয়া উদ্দিন বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সাইফুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার রাতে নগরীর কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তাদের সহযোগগীরা পুলিশের উপর গুলী চালিয়ে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ পাল্টা গুলী চালিয়ে প্রতিহত করে। এতে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল গুলীবিদ্ধ হলে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওসি প্রণব আরো জানায়, গত ৬ এপ্রিল শনিবার নগরীর বাকলিয়া ও গোলপাহাড় এলাকার কিশোরদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে গিয়ে গভীর রাতে বাকলিয়ার খালপাড় এলাকায় গুলীতে নিহত হন এইচ এম লোকমান হোসেন। নিহত লোকমান গোলপাহাড় এলাকার কিশোরদের কথিত ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত ছিল। অন্যদিকে বাকলিয়া এলাকার কিশোরদের ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত নিহত মো. সাইফুল। সেদিন সাইফুলের গুলীতে লোকমান নিহত হয় বলে লোকমানের স্বজনরা জানায়।
কর্ণফুলীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুইজনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ইঞ্জিন বোট ডুবে নিখোঁজ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. আকবর (৩৫) ও মো. হানিফ (৩৬)। মঙ্গলবার ভোরে ইপিজেড থানাধীন কর্ণফুলীর নেভাল বার্থ-১ এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশ দুইটি পাওয়া যায় বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা। নিহত আকবর জুলধা ইউনিয়নের ডাঙ্গারচর ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ মেম্বারের বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে। আর হানিফ একই গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শুক্কুর মেম্বারের বাড়ির আবদুল খালেকের ছেলে। নিহত আকবরের স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক ছেলে এবং হানিফের স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত রবিবার রাতে সল্টগোলা ঘাটে থেকে ডাঙ্গারচর যাওয়ার সময় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে আসছে। নৌকাডুবির ঘটনায় সাদিয়া টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের ম্যানেজার জুলধা ১০০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত শেরপুরের হাবিব (৩০) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ