কেশবপুরে মেম্বারের নেতৃত্বে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে আত্মসাত!
কেশবপুর (যশোর) সংবাদদাতা : আনারস প্রতিক বিজয়ের পরের দিন কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর ভায়া শিকারপুর সড়কের ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বন বিভাগের ৩টি বাবলা গাছ এলাকার এক মেম্বারের নেতৃত্বে কেটে আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, মজিদপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ভায়া শিকারপুর সড়কের দু‘পাশ দিয়ে প্রায় ২০ বছর আগে উপজেলা বনায়ন ও নার্সারী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শত শত বাবলার বীজ বণন করা হয়। শ্রীরামপুর গ্রামের মেম্বার আব্দুর রহমানকে এ প্রকল্পের সভাপতি করে উপকারভোগীরা গাছগুলো দেখভাল করে আসছেন। নির্বাচনের পরের দিন ১ এপ্রিল সকালে শিকারপুর পাত্রপাড়া ওয়ার্ড মেম্বার মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে ৫/৬ জন যুবক ওই গাছগুলোর ভেতর থেকে ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি গাছ কেটে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ। আনারস প্রতিক বিজয়ের পরের দিন ওই গাছ কাটায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেম্বার মনিরুজ্জামান মনি বলেন, তার নেতৃত্বে কোন গাছ কাটা হয়নি। শিকারপুর সরদার পাড়ার এক গরীব লোক খানা দেবে বলে তার সহায়তার জন্যে ওই গাছ কেটে তাকে দেয়া হয়েছে। তবে কমিটির সভাপতিকে জানিয়েই ৩টি নয় একটি গাছ কাটা হয়েছে। উপজেলা বনায়ন ও নার্সারী উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতি শ্রীরামপুর গ্রামের মেম্বার আব্দুর রহমান বলেন, আমি ওই গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানি না। গাছ কাটার সংবাদ পেয়েই উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৮৯-৯০ অর্থ বছরে ওই সড়কের দু‘পাশ দিয়ে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। আমি এখন যশোরে আছি। ফিরে এসেই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।