শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঐকমত্য ছাড়াই তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম আলোচনা শেষ

১৩ মার্চ, এএফপি, এপি : যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে দীর্ঘতম আলোচনা শেষ হয়েছে। ১৬ দিন ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় দুই পক্ষের আলোচনায় মূল কয়েকটি ইস্যুতে অগ্রগতি হলেও কোনও বড় ধরনের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হয়নি। গত মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে দুই পক্ষই জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও সেনা প্রত্যাহারের পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। ৯/১১ হামলার পর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ তুলে আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে তালেবান সরকার উৎখাত করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগান যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দিলেও সেখানে রয়ে গেছে মার্কিন সেনারা। আর মার্কিন সমর্থিত আফগান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর তালেবানের ধারাবাহিক হামলা দেশটিতে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। ১৮ বছরের এই যুদ্ধ অবসানে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবার আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিরা। গত মাসে দোহায় শুরু হয় দ্বিতীয় দফার আলোচনা।

 সেই আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের আফগান বিষয়ক দূত জালমাই খলিলজাদ বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার শর্তে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। টুইটবার্তায় খলিলজাদ বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় চার ইস্যুতে চুক্তির প্রয়োজন: সন্ত্রাস দমনের নিশ্চয়তা, সেনা প্রত্যাহার, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংলাপ এবং বিস্তৃত একটি যুদ্ধবিরতি। জানুয়ারির আলোচনায় আমরা এই চারটি মৌলিক ইস্যুতে একমত হয়েছিলাম। এখন আমরা প্রথম দুটির খসড়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। 

তালেবানের এক মুখপাত্র আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ইস্যুতে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির ভবিষ্যত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে। আফগানিস্তানে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৪ হাজার সেনা সদস্য রয়েছে। আফগান বাহিনীকে সহায়তা ও পরামর্শ দিতে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন জোটের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় এসব সেনা সদস্য রয়েছে। তবে মার্কিন বাহিনীর কোনও কোনও অংশ সেখানে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানও চালায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ