শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চিঠি চালাচালিতে তিন বছর পার ॥ খুলনায় ২ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে ধীরগতি

খুলনা অফিস : ২০১৫ সালে খুলনার বটিয়াঘাটা এবং তেরখাদায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বেজা) ওই বছরের ১৯ নবেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর জমির নকশা, খতিয়ান, মূল্য নির্ধারণী তথ্য সংগ্রহ করতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। ২০১৭ সালে জেলা প্রশাসন বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা মৌজায় ৫৯৪ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত দেয়নি মন্ত্রণালয়।

বেজা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে জায়গা নির্ধারণ, সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রকল্প গ্রহণ জমি অধিগ্রহণসহ এখনো অনেক কাজ বাকি। ফলে সবকিছু গুছিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। এদিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে দীর্ঘসূত্রিতায় ক্ষোভ জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন শিল্প উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, খুলনায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হলে ব্যবসা-বাণিজ্য শিল্পায়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ অন্য সব কাজও ঝুলে রয়েছে।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, বটিয়াঘাটা তেরখাদা উপজেলায় দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রাথমিকভাবে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য অনুমতি চেয়ে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন কাজের গতি বাড়াতে জেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার তথ্য অনুযায়ী, বটিয়াঘাটার ৫৯৪ একর জমির মধ্যে প্রায় ২১২ একর খাস জমি। বাকি ৩৮২ একর জমির মধ্যে কিছু অংশ বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। আর কিছু জমিতে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে। তবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন জটিলতা তৈরি হবে না। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে নৌ সড়ক পথে সংযোগ তৈরিতে আরও কিছু জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রায় ২৫০-৩০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে বটিয়াঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য চিহ্নিত করা জমির একটি ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় তেরখাদায় অথনৈতিক অঞ্চলের জমি চিহ্নিত করার কাজই শুরু হয়নি।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সময়ে এলাকা পরিদর্শন করে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে রয়েছে খুলনার দুই অর্থনৈতিক অঞ্চল। দেশের অনগ্রসর অঞ্চলের উন্নয়নে সরকার এই অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নিলেও দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ