শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ট্রাম্প চাইলেও আর সুযোগ নেই --উত্তর কোরিয়া

বিবিসি:  উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আরও আলোচনা চাইলেও পিয়ংইয়ংযয়ে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। গত বৃহস্পতিবার কোনো চুক্তি ছাড়াই হঠাৎ করে শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সম্মেলন। 

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো এ মন্তব্য করেন। রি ইয়ং হো বলেন, বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আংশিক অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছিল। পুরোপুরি প্রত্যাহার নয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে যে উত্তর কোরিয়া পুরোপুরি অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র কী করতে চাইছে, তা পরিষ্কার ছিল না। গতকাল শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল মধ্যরাতের পর ওই সংবাদ সম্মেলনে রি ইয়ং হো বলেন, ‘তাঁর দেশ খুবই বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিয়েছিল। যার মধ্যে ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক চুল্লি পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তাব ছিল। এর বদলে উত্তর কোরিয়া কেবল আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েছিল। এই অবরোধের কারণে বেসামরিক অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে হ্যানয় শীর্ষ সম্মেলনের মতো একটি সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের প্রস্তাব কখনোই পাল্টাবে না, এমনকি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার আলোচনায় বসতে চায়।’ ওই বৈঠকের পর হ্যানয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কিম বলেছেন তিনি ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক চুল্লি নিষ্ক্রিয় করতে ইচ্ছুক। এটিই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পের সবচেয়ে বড় চুল্লি। তবে এটি নিষ্ক্রিয় তিনি করবেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ তুলে নেয়; যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী রি ইয়ং হো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিনে যত আলোচনাই করুক না কেন, কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ংয়ের শর্ত ও প্রস্তাব বদলাবে না।

ট্রাম্পের দাবি, উত্তর কোরিয়া তাদের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্ত দেয়াতেই দুই দিনের সম্মেলনটি সমঝোতা ছাড়া শেষ হয়েছে। যদিও পরে এক সংবাদ সম্মেলনে রি এ দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, সব নয়, উত্তর কোরিয়া কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল।

পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের পরিদর্শকদের উপস্থিতিতে ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ভেঙে ফেলাসহ বেশ কিছু ‘বাস্তবসম্মত’ প্রস্তাব হাজির করেছিল বলেও জানান এ পররাষ্ট্র মন্ত্রী। “গণতান্ত্রিক কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এখনকার আস্থা বিবেচনায় নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় নিরস্ত্রীকরণ প্রস্তাব,” বলেছেন তিনি। এর বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া তার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার আংশিক প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিল, যা ‘বেসামরিক অর্থনীতি ও জনসাধারণের জীবনধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে’, বলেন রি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ