শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পেঁয়াজ ও সবজির দাম বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। সরবরাহ কমায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সবধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। গত এক মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। এর প্রভাবে বেড়েছে লাল লেয়ার এবং পাকিস্তানি কক মুরগির দামেও। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। তবে বাজারগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, আটা, গুঁড়া দুধসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে দেখা যায়, কেজিতে দেশি পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজার ও মান ভেদে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা। বেগুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা আগে ছিল ৩০ টাকা, ধনেপাতা প্রতিকেজি ৬০ টাকা আগে ছিল ৫০ টাকা, প্রতিকেজি শিম ৩০ টাকা আগে ছিল ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৩০ টাকা আগে বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা আগে ছিল ২০ টাকা পিস। এছাড়া প্রতি কেজি করলা ৮০টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০টাকা, লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকা, প্রতিকেজি শালগম ৩০ টাকা এবং মুলা ২৫ টাকা, নতুন আলু ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি।
সবজি বিক্রেতা প্রশান্ত জানান, আর মাত্র দশ-বার দিন পর নতুন পেঁয়াজ ওঠার কথা। কিন্তু গত চারদিনের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে গেছে। এতে নতুন পেঁয়াজের উৎপাদন কম হবে। যা দামে প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে বৈরী আবহাওয়ার জন্য বাজারে সরবরাহ কমায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা।
এদিকে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পিস। দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। যা আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা আদা ১০০ টাকা। আমদানি করা প্রতিকেজি রসুন ১০০ টাকা আর দেশী ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মুরগি ব্যবসায়ী আবদুল জানান, গত সপ্তাহে চাহিদা কমায় দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাজারগুলোতে সরবরাহ কমায় দাম আবার কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বিয়ে ও পিকনিকতো রয়েছেই।
মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে গরু ও খাসির গোশত দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর গোশত আগের মতোই ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং খাসির গোশত ৬৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেড়েছে সবধরনের ডিমের দাম মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশী মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে আগের  বৃদ্ধি পাওয়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় সব মাছ। বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। প্রতিকেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা মাছ ৭০০ টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, খল্লা ৩৫০ টাকা, সোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা।
অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৫ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া প্রতিকেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, আমদানিকরা চিনি ৫০। প্রতিকেজি ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫। প্রতিকেজি খোলা সোয়াবিন তেল ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ টাকা, সরিষার তেল প্রতিকেজি ১২০ টাকা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ