বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি

সংসদ রিপোর্টার : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ৫টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি অগভীর ও গভীর সমুদ্রের ৪টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত রয়েছে। সমুদ্র অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য বিদ্যমান বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের (লক্ষীপুর-২) প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্র সীমানার বিরোধ নিষ্পত্তির পর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে গভীর ১৫টি ও অগভীর ১১টি মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। অগভীর সমুদ্রের ৩টি এবং গভীর সমুদ্রের একটিসহ মোট ৪টি ব্লকে ৪টি উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় ৫টি আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানি (আইওসি) তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বাংলাদেশ-ভারত ও বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্র সীমানার বিরোধ নিষ্পত্তির পর গভীর ও অগভীর সমুদ্রে ৫টি কোম্পানির সাথে ৪টি ব্লকে ৪টি উৎপাদন চুক্তির (পিএসসি) মাধ্যমে তেল গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে ডাটা এনালাইসিস এর কার্যক্রম চলছে।
 দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ৮৫৪ মেগাওয়াট : ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২০ হাজার ৮৫৪ মেগাওয়াট। বর্তমানে শীতকালীন সময়ে চাহিদা কম থাকায় গড়ে প্রতিদিন ৯ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
২০১৮ সালে জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা : দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, জ্বালানি খাতে ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে ৬৫,০৫৩০৮.০৬ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে এবং ও সে বাবদ আনুমানিক ৩২ হাজার ৯৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে (ভ্যাট ও ট্যাক্স ব্যাতীত)।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ