শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

বাফুফের বিরুদ্ধে সাদেকের মামলা

স্পোর্টস রিপোর্টার : উকিল নোটিশে সুরাহা না পেয়ে দেনা-পাওনার অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুস সাদেক।এর আগে পাওনা টাকা আদায়ে ৩ ফেব্রুয়ারি বাফুফে বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন গাজীপুর জেলার এই ফুটবল সংগঠক। দুই বছরের পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা আদায়ে সাদেক মামলা করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ২৪ সদস্যের বিরুদ্ধে। দেনা-পাওনা বিপত্তিতে কম বিপদে পড়তে হয়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। এর আগেও আর্থিক লেন-দেনের বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাফুফেকে।

সাদেকের দাবি, ২০১৬ ও ২০১৭ এই দুই বছরে বিভিন্ন সময় বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জাতীয় দল ক্যাম্প করার সময় তাঁর পাওনা ছিল ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা। তিনি ক্যাম্পে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। খাবার সরবরাহের পাশাপাশি তিনি অনুশীলনে ও ম্যাচে বিভিন্ন সামগ্রী দিতেন।আইনি নোটিশে কোনও সুরাহা না হওয়ায় মামলার পথ বেঁছে নেয়ার ব্যাপারে সাদেক জানান,‘তারা (বাফুফে) আমার উকিল নোটিশের কোনো জবাব দেননি। জবাবের তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পর আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করেই সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’সাদেকের আইনজীবীর তরফ থেকে জানা যায় মামলাটি হয়েছে সিভিল কোর্টে ঢাকা পঞ্চম জজ আদালতে। যার প্রথম শুনানি ১৮ মার্চ।

এদিকে বাফুফের দাবি, মামলার কোনও কপি পায় নি তারা। অন্যদিকে সাদেকের নামে পাল্টা উকিল নোটিশ পাঠিয়ে তার বিল ভাউচারের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘আমরা এখনো মামলার কপি পাইনি। তবে আমরা সাদেককে ১৪ দিনের মধ্যে তার পাওনা বিল ভাউচার জমা দেওয়ার জন্য উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। যার মেয়াদ শেষ হবে ১ মার্চ।’এর আগেও বিভিন্ন ক্লাব ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে শেখ জামালসহ জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মারুফুল হক। এছাড়া ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে প্রাইজমানি না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিল নেপাল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ