শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নদীর কোটি কোটি টাকার মাটি কেটে সাবাড়

স্টাফ রিপোর্টার : গোমতী, নাগর এবং কালীগঞ্জ নদীর মাটি কেটে নদীতীর ধ্বংস এবং পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য করার অভিযোগ পেয়ে তিন জেলায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার পরিচালিত এসব অভিযানে ১০ জনকে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হয়েছে।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট দলের সমন্বয়ক ও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক জানিয়েছে, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) জনসাধারণের অভিযোগ পেয়ে তিন জেলায় যুগপৎ সাঁড়াশি অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক হেলাল উদ্দিন শরীফের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও দুদকের দল কুমিল্লার দেবীদ্বারে গোমতী নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে অভিযান চালায়। অভিযানে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে কারাদ- দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দুটি ট্রাক্টর ও দুটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিবরণী ও দিগনগর ইউনিয়নে দুদকের যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে দুদক টিম অভিযান চালায়। অভিযানে কালীগঞ্জ নদীতে বালু তোলার সময় একজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে কারাদ- দেওয়া হয়।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নাগর নদের তলা খুঁড়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান চালায়। অভিযানে চারজনকে ছয় মাস করে কারাদ- এবং মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়াও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশবিধ্বংসী এসব অপরাধ দুর্নীতির উৎসমূল। এ থেকে যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করছে, তাদের সম্পদের হিসাব বের করে দুদক শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেবে। পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ