সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখার প্রত্যাশা বিজিবি বিএসএফের
চট্টগ্রাম ব্যুরো-বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সবসময় সৌহাদ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহরে অবস্থিত বিজিবি দক্ষিণপূর্ব জোন দপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের উভয় বাহিনীর পক্ষ থেকে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। গত ১১ হতে ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়ন সদর দফতরে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সংক্রান্ত সম্মেলনের শেষ দিনে এ সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। প্রতি ছয় মাস পর পর নিয়মিত এ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও দক্ষিণপূর্ব রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম শিকদার বলেন, সীমান্ত সংক্রান্ত সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে এসেছি আমরা। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, গুলীবর্ষণ রোধ করা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান রুখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া, নারী ও শিশু পাচার রোধ করা এবং সীমান্তে দেড়শ গজের মধ্যে বিভিন্ন নির্মাণ, উন্নয়ন কার্যক্রম ও সীমান্ত চুক্তি সঠিকভাবে অনুসরণের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
বিজিবি’র অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। আমরা সবসময় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঐতিহ্য ধরে রেখে কাজ করি। তিনি বলেন, ফেনী নদীর পানি বন্টনের বিষয়ে যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। তবে যেটুকু পানি নিয়ে যাওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমরা তাদের জানিয়েছি। এটি সম্পূর্ণভাবে যৌথ নদী কমিশনের উপর নির্ভর করেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ মিজোরাম ও কাচার ফ্রন্টিয়ারের মহাপরিদর্শক ড. কানহু চরণ মাহালি বলেন, মাদক, অস্ত্রসহ সব ধরনের চোরাচালান ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ বন্ধে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করছে। সম্মেলনে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান, বিএসএফ ত্রিপুরা’র মহাপরিদর্শক সলমন ইয়াশ কুমার, মেঘালয় মহাপরিদর্শক কুলদীপ সাইনি উপস্থিত ছিলেন।