মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ঢাকাকে হারিয়ে বিপিএল শিরোপা জিতল কুমিল্লা

স্পোর্টস রিপোর্টার : দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল শিরোপা জয় করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকাকে হারিয়ে এবার বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের শিরোপা জয় করে কুমিল্লা।  শুক্রবার আসরের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ১৭ রানে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। এটি দলটির দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৫ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা। ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের দানবীয় ইনিংসে ভর দিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান করে কুমিল্লা। তামিম একাই ৬১ বলে করেন অপরাজিত ১৪১* রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮২ রান করে সাকিব আল হাসানেরর দল। এরআগে কোন ফাইনালে ফাইনালে খেলা হয়নি তামিম ইকবালের। একই সঙ্গে দেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও ছিলো না তার অসাধারণ কোনও কীর্তি! কিন্তু সেই অতৃপ্তি অবশ্য ঘুঁচেছে বাংলাদেশিদের মাঝে টি-টোয়েন্টির সেরা ইনিংসটি খেলে। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে বিপিএল ফাইনালে তার প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৭ রানে জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাতে নিশ্চিত হয়েছে কুমিল্লার দ্বিতীয় বিপিএল শিরোপা। ঢাকা ১৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ৯ উইকেটে করতে পারে ১৮২ রান! ১৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঢাকা দ্বিতীয় বলে হারায় প্রথম উইকেট। সুনীল নারিন রান আউটে ফিরে গেলে প্রথম দিকে হোঁচট খেয়ে শুরু হয় তাদের। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও রনি তালুকদারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন  দখতে শুরু করে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। নবম ওভারেই উঠে আসে ১০২ রান। ছন্দ পতন ঘটে থারাঙ্গা ৮.৬ ওভারে খুব বেশি উঠিয়ে মারতে গেলে। পেরেরার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৪৮ রানে। পরে অধিনায়ক সাকিব মাত্র ৩ রানে তড়িঘড়ি করে ফিরলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা হুমকিতে পড়ে এখানেই। এরপরেই ঘটতে থাকে উইকেটের নিয়মিত পতন। ওয়াহাবের বলে ঢাকা অধিনায়ক তামিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ঝড়ো ইনিংস খেলা রনি তালুকদার ৩৮ বলে ৬৬ রান করে বিদায় নেন রান আউটে। দলীয় ১৩২ রানে আন্দ্রে রাসেলও ব্যর্থ হলে বিপদ আরও বাড়ে ঢাকার। অপরপ্রান্তে কিয়েরন পোলার্ড থাকলেও তাকে ওয়াহাব রিয়াজ ১৩ রানে তালুবন্দী করেন সেঞ্চুরিয়ান তামিমের। বলতে গেলে সাকিব ও রাসেলের বিদায়েই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় ঢাকার। যেই দুটি ক্যাচ নেন তামিম ইকবাল! ঢাকা শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পারে ১৮২ রান। শেষ দিকে নুরুল ও মাহমুদুল হাসানের দ্রুত গতির রান হারের ব্যবধান কমায় মাত্র।  ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন কুমিল্লার ওয়াহাব রিয়াজ।দুটি করে নেন থিসারা পেরেরা ও সাউফউদ্দিন। এর আগে টস হেরে তামিমের বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যাদের শুরুটা ছিলো ধীর গতির। শুরুতে ওপেনার এভিন লুইস দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নিলে তামিম ইকবাল ধীর গতিতে ব্যাট চালিয়ে খেলেন প্রথম দশ ওভার। খোলসবন্দী তামিম ইকবাল খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দশ ওভার পর। প্রথম পাওয়ার প্লেতে রানের চাকা সমৃদ্ধ না হওয়ায় কুমিল্লার সংগ্রহটা  যে বেশি হবে না-এক সময় তা মনে হয়েছিলো। সেই ধারণা অবশ্য বারুদ ঠাসা এক ইনিংসে উড়িয়ে দেন তামিম ইকবাল। ৬১ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৪১ রানে। ঢাকার বোলারদের ১০টি চার ও ১১টি ছক্কায় শাসন করেছেন শেষ বল পর্যন্ত। মাঝখান দিয়ে এনামুল লেগ বিফোরে ও শামসুর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলে অধিনায়ক ইমরুল অপর প্রান্তে থেকে সঙ্গ দিয়েছেন শুধু ১৭ রান করে। ঢাকার অধিনায়ক সাকিব ১ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪৫ রান আর রুবেল খরচ করেন ৪৮ রান, বিনিময়ে তিনিও নেন একটি। ম্যাচসেরা হন ১৪১ রানে অপরাজিত থাকা তামিম ইকবাল। আর টুর্নামেন্টের সর্বাধিক ২৩টি উইকেট নেওয়া সাকিব হন টুর্নামেন্ট সেরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ