শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রতারণার মামলায় জামিন পেলেন কায়সার হামিদ

স্টাফ রিপোর্টার : প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এক সপ্তাহ কারাবাসের পর জামিন পেলেন ফুটবলার কায়সার হামিদ। ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ গতকাল রোববার ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ককে জামিন দেন। গত ২০ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে কায়সার হামিদকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির একটি দল। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রায় তিন দশক আগে ফুটবল ছাড়ার পর কায়সার হামিদসহ কয়েকজন ‘নিউওয়ে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। ওই কোম্পানির জন্য বিভিন্ন জন থেকে অর্থ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ২০১৪ সালে মামলা হয়। সেই মামলায় কায়সার হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুটি মামলায় কায়সার হামিদের পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানিতে তার আইনজীবী আবু সাঈদ বলেন, “কায়সার হামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাকে ফাঁসানোর জন্য এ মামলা করা হয়েছে। যে কোনো শর্তে আমরা তার জামিনের প্রার্থনা করছি। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।”
­বনানী থানার করা মামলাগুলোর একটির বাদী রাজধানীর বাড্ডার জনৈক জালাল উদ্দিন এবং অন্যটির বাদী একই এলাকার মো. আবু বক্কর (সালাম)। তারা ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার হাকিম আদালতে মামলার আবেদন নিয়ে গেলে তা এজাহার হিসেবে নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল মামলাগুলো থানায় এজাহারভুক্ত হয়।মামলাগুলোয় কায়সার হামিদ কোম্পানির সেক্রেটারি হিসেবে দুই নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান সনজিত কুমার দাস, ট্রেজারার তরিক উল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সামসুদ্দোহা তৌফিক, যুগ্ম সম্পাদক তাজিম আনোয়ার, এক্সিকিউটিভ সদস্য মনির হোসেন, আতাউর রহমান, মোশারফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও মো. বাদল। এরমধ্যে মনির হোসেন জামিনে রয়েছেন এবং অন্য আসামিরা পলাতক বলে মামলার নথিপত্রে দেখা যায়। এক মামলায় বাদী জালালের অভিযোগ, এক লাখ টাকায় বছরে সম পরিমাণ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে তিনি ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আসল ও লভ্যাংশ কিছুই পাননি। আবু বক্করের অভিযোগ, তিনিও ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে কিছু পাননি।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক কায়সার হামিদ বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ‘মোহামেডানের কায়সার হামিদ’ নামেই পরিচিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের সদস্য কায়সার হামিদ ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনও করেছিলেন। গত শতকের ৯০ এর দশকের শুরুতে ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার পর কায়সার হামিদ জাকের পার্টিতে যোগ দিয়েও আলোচনার জন্ম দেন। এই দলটির হয়ে সংসদ নির্বাচনে গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি।  কায়সার হামিদের মা রানী হামিদ বাংলাদেশের সেরা দাবাড়ুদের একজন। তার বাবা প্রয়াত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল হামিদও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ