শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তুরস্কে এখনো অটোমান আমলের ভোটার!

২২ জানুয়ারি, বিবিসি : তুরস্কে মার্চ মাসে যে স্থানীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে- তার আগে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অদ্ভূত কিছু ব্যাপার লক্ষ্য করা গেছে। যেমন- কিছু ভোটার আছেন যারা এই প্রথমবার ভোট দেবেন, কিন্তু তাদের বয়স ১০০-এর ওপর। খবর বিবিসির।

একজন ভোটারের বয়স ১৬৫। যার নাম আয়েস একিচি। জন্ম বলা হয় ১৮৫৪ সালে; যখন তুরস্ক অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। তিনি নাকি এবারই প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। জুলফু এবং আয়েস নামে আরো দুজন ভোটারের বয়েস বলা হচ্ছে যথাক্রমে ১৪৯ ও ১৪৮।

পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত লোক বলে যার নাম জানা যায়, তার চাইতেও বেশি বয়স এসব ভোটারের।

বিরোধীদলগুলো বলছে, তারা ভোটার তালিকা পরীক্ষা করে দেখেছে যে একটি বিশেষ অ্যাপার্টমেন্টকে ঠিকানা হিসেবে দেখিয়ে এক হাজারেরও বেশি ভোটার তাদের নাম নিবন্ধন করিয়েছেন।

তুরস্কে এই ভোটার তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে হৈচৈ। রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, এই ভোটার লিস্টে নানা কারসাজি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, মার্চ মাসে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে হয়তো প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একে পার্টি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। অর্থনীতির স্থবিরতার কারণে এবার রাজধানী আংকারা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে হেরে যেতে পারে।

রিপাব্লিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) অভিযোগ করেছে, গত নির্বাচনে একে পার্টি যেসব এলাকায় সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরেছিল- সেই আসনগুলোতেই এই 'অস্বাভাবিক' ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

বিরোধীদলগুলো বলছে, কোন কোন ঠিকানায় সন্দেহজনক রকমের বিপুলসংখ্যক ভোটার নিবন্ধিত বলে দেখা যাচ্ছে। একটি ফ্ল্যাটের ঠিকানায় নিবন্ধিত হয়েছে ১ হাজার লোক। অনেক ভোটার এমন ভবনকে ঠিকানা হিসেবে দেখিয়েছেন যাতে কেউ থাকেন না, কোনো কোনো ভবন এখনও নির্মাণাধীন।

চানকিরি প্রদেশের একটি জেলায় গত ছয় মাসে ভোটারের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদলগুলো এই ভোটার তালিকার ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আইয়ি নামে একটি দলের নেতা হাসান সেইমান সোমবার টুইট করেছেন যে বিরোধীদল এই অভিযোগ তোলার পর ভোটার তালিকা থেকে হাজার হাজার নাম বাদ দেবার খবর পেয়েছেন তিনি।

তবে একে পার্টির একজন কর্মকর্তা রেচেপ ওজেল বলেছেন, ‘বিরোধীদল এমন একটা ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করছে যেন আমরাই এটা করেছি, কিন্তু আসলে আমরাই এর সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছি।’ শহরগুলোর মেয়র ও রাজনৈতিক দলগুলোই এ কাজ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার ব্যাপারে একে পার্টিই সবার আগে অভিযোগ তুলেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ