শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডিসেম্বর মাসে রাজনৈতিক সন্ত্রাস

মুহাম্মদ ওয়াছিয়ার রহমান : [দশ]
ঝিনাইদাহের কোটচাঁদপুর থেকে জগশিপুর গ্রামের মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, বিদ্যাধর গ্রামের শহীদুল ইসলাম ও ছয়খাদা গ্রামের জামায়াত কর্মী ফরিদকে পুলিশ আটক করে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াত  সেক্রেটারি মাওলানা মোশাররফ হোসেন, শিবির দক্ষিণ কোম্পানীগঞ্জ সভাপতি আবু তাহের টিফু ও শিবির কর্মী রাশেদসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে পদুয়া ইউনিয়ন জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল-মামুন, মফিজুর রহমান, আধুনগর ইউনিয়ন জামায়াত নেতা জসিম উদ্দিন, নূরুল আমীন, আলমগীর ও সাতকানিয়া উপজেলা কাঞ্চনা ইউনিয়ন জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ আটক করে। ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রার্থী ও জামায়াত  সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমানের নেতা-কর্মীদের উপর আওয়ামী লীগের রেজাউল বাহার ও যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজুর নেতৃত্বে হামলা ও প্রচার গাড়ি ভাংচুর। এ সময় তারা আলমগীর হোসেনকে ডিবি পুলিশে ধরে দেয় এবং কচুক্ষেত থেকে ফারুক হোসেনকে আটক করে। ১৩ ডিসেম্বর যশোরের চৌগাছা থেকে জামায়াত নেতা আব্দুল মজিদ ও মাওলানা মিজানুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
১৪ ডিসেম্বর খুলনার বেজেরডাঙ্গার ফুলতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে হামলার অভিযোগে জেলা আমীর মাওলানা ইমরান হোসাইনসহ ৭ জামায়াতকে আটক করে পুলিশ। নারায়নগঞ্জ পুলিশ ১৫১ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে আটক করে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে পুলিশ পৌর জামায়াত  সেক্রেটারিসহ ৬ নেতা-কর্মীকে আটক করে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থেকে উপজেলা জামায়াত আমীর ও জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট রফিকুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে। ১৫ ডিসেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি সাইফুল ইসলামকে নিজ বাড়ী থেকে পুলিশ আটক করে। নাটোরের লালপুর থেকে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন জামায়াত  সেক্রেটারি মোশররফ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। নীলফামারীর সৈয়দপুর পুলিশ পৌর সভার ১৪নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি আখতার হোসেনকে আটক করে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার কাফরুল থানা পুলিশ বাড্ডা পূর্ব থানা জামায়াত কর্মী রাশেদুজ্জামান লাবুকে আইন শৃংখলা বহিনী আটক করে। কিন্তু পুলিশ মাস শেষ পর্যন্ত কোর্টে চালান দেয়নি। ১৭ ডিসেম্বর দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থেকে পুলিশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, তোফাজ্জল হোসেন, হিলিরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর আ্উয়াল মাষ্টার ও ডাঃ আতিয়ার রহমানকে আটক করে। সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে পুলিশ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আকবর আলী ও  সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ মুনসুর আহমেদকে আটক করে। ১৮ ডিসেম্বর রংপুর বদরগঞ্জ পুলিশ মধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জামায়াত নেতাকে আটক করে।
১৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে উপজেলা জামায়াত সাবেক আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমানকে পুলিশ আটক করে। রাজশাহী মহানগর ও জেলা থেকে পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর ৩ কর্মী মহানগরীর আব্দুল মমিন, আব্দুল রাকিব ও বাঘার সুলতানপুর গ্রামের মহিবুল ইসলামকে আটক করে। ২০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা উত্তর জামায়াত আমীর ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন  সেক্রেটারিকে পুলিশ আটক করে। যশোর চৌগাছা থেকে পুলিশ জামায়াত নেতা ও পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহমানকে আটক করে। ঝিনাইদাহের মহেশপুর থেকে পুলিশ ২ জামায়াত কর্মীকে আটক করে। নীলফামারীর সৈয়দপুর শ্বাসকান্দর শাহপাড়া থেকে জামায়াত নেতা খয়রাত হোসেন বসুনিয়া ও সমর্থক হায়দার আলীকে পুলিশ আটক করে। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা জামায়াত  সেক্রেটারি রুহুল ইসলাম হামিদী, তিলাই ইউনিয়ন সভাপতি আইউব আলী,  সেক্রেটারি রমজান আলী ও জয়মনিরহাট ইউনিয়ন  সেক্রেটারি নজরুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে। পটুয়াখালীর দুমকি থেকে পুলিশ জামায়াত নেতা নেছার উদ্দিনকে আটক করে। যশোরের চৌগাছা থেকে জামায়াত নেতা ও ধানের শীষের প্রার্থী মুহাদ্দিস আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। খুলনা জেলা পুলিশ উত্তর জেলা জামায়াত সহকারী  সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান শিরিনাসহ ৪ জনকে আটক করে। ঠাকুরগাঁও মহাজারা বাজার থেকে পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলো- সাবেক জেলা শিবির সভাপতি শাহ জালাল জুয়েল ও আবু সুফিয়ানসহ ৭ জন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পুলিশ ২ জামায়াত কর্মী আটক করে। ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত  সেক্রেটারি ডঃ মুহাম্মদ রেজাউল করীমকে আটক করে পুলিশ।
২৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা জামায়াত নায়েবে আমীর ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। নীলফামারী সদরে লক্ষ্মীচাপ গ্রাম থেকে জামায়াত কর্মী গোলাম রব্বানীকে পুলিশ আটক করে। ২৪ ডিসেম্বর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পুলিশ পৌর জামায়াত নেতা আমির হোসেন, পালশার লিটন মিয়া, উদায়ধুল গ্রামের শহিদুল ও শাহিনুর ইসলামকে আটক করে। সিলেট মহানগর পুলিশ জামায়াতে-শিবিরের ২৫ নেতা-কর্মীকে আটক করে। পাবনা সদর থেকে জামায়াতে ইসলামীর ৩ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করে। কুমিল্লা জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে পুলিশ এ্যাডঃ শাহজাহান ও এ্যাডঃ বদিউল আলম সুজনসহ ৪ জনকে আটক করে। তারা রিটানির্ং অফিসারের কাছে নৌকা প্রতীকের লোকদের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করতে গেলে আটক হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা জামায়াত আমীর ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে পুলিশ আটক করে।
২৫ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থেকে পুলিশ ফুলবাড়ী ইউনিয়ন জামায়াত আমীর শামসুল হুদাকে আটক করে। পঞ্চগড়ের বোদা থেকে পুলিশ বেংহারি ইউনিয়ন জামায়াত  সেক্রেটারি তসলিম উদ্দিন মেম্বার ও ঝলইশালশিরি ইউনিয়ন  সেক্রেটারি তরিকুল ইসলামকে আটক করে। চট্টগ্রামের লোহাগড়া ও সাতকানিয়া থেকে পুলিশ জামায়াতের এ্যাডঃ সাইফুল্লাহ ইসলামাবাদী, রাকিব, সাতকানিয়া থেকে আব্দুল গফুর, আব্দুল মান্নান, আবু সৈয়দ মেম্বার ও তালেব আলীকে আটক করে। ২৬ ডিসেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনে ধানের শীষ প্রার্থী মাজেদুর রহমান ও তার মটর সাইকেল চালককে অপহরণ করে। ঝিনাইদাহ-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও জামায়াত নেতা অধ্যাপক মতিউর রহমান ও তার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে আটক করে। বিভিন্ন মামলায় জামিন নিতে ঢাকায় আসলে পুলিশ তাকে আটক করে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আওয়ামী লীগের লোকজন জামায়াতের ওয়াজি উল্লাহ ভূঁইয়া, ডাঃ মফিজুর রহমান স্বপন ও বাবুকে আটক করে পুলিশে দেয়। সাবেক শিবির নেতা সোলায়মান ফারুক ও শেখ ফুরদকে আওয়ামী লীগের লোকজন মারধর করে পুলিশে দেয়। পঞ্চগড় বোদা থানা পুলিশ জামায়াতের পৌর আমীর রেজাউল করীম, শরিফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, স্বপন, দুলাল, মানিক, আব্দুল মজিদ, রজব আলী, দেলোয়ার ও নূরুল ইসলামকে আটক করে। সাতক্ষীরা সদর আসনের জামায়াত নেতা মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের জামাতা অধ্যাপক মিরায়াজ হোসেনকে পলাশপোল থেকে আটক করে পুলিশ।
২৭ ডিসেম্বর নীলফামারীর ডিমলা থেকে ৬ জামায়াত নেতা-কর্মীকে আট করে পুলিশ। ঠাকুরগাঁও সদর থেকে জামায়াত নেতা আব্দুল হাকিমের ছেলে মারজুকে পুলিশ আটক করে। ২৮ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বিরামপুর পুলিশ কেটরা বাজার থেকে জামায়াত নেতা কোবাদ আলীকে আটক করে। ২৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আমীরের স্ত্রী সালেহা খাতুনকে আটক করে পুলিশ। ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী পুলিশ জামায়াত কর্মী খলিলুর রহমানকে আটক করে। ৩০ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর আসনে জামায়াত প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের স্ত্রী সাজেদা বেগম ও শ্যালক মাওলানা আতিয়ার রহমান, আজিবর রহমান ও পোলিং এজেন্ট রবিউল ইসলামসহ পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের হামলায় ৫ জন আহত এবং ১০ জনকে আটক করে। 
শিবির ঃ ২ ডিসেম্বর ঝিনাইদাহ সদরের বিষয়খালী এলাকা থেকে শিবির কর্মী আব্দুল আলিম ও নাজমুল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। রংপুর-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানীর প্রস্তাবক ওমর ফারুক ওয়াহেদকে মনোনয়নপত্র জমাদান কালে আটক করে পুলিশ। ৭ ডিসেম্বর নড়াইল জেলা শিবির  সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামকে মাথাভাঙ্গা এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে। আটকের পর তার পরিচয় জেনে থানায় নিয়ে প্রচার করা হয়, তার কাছ থেকে শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে।
শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। ১৫ ডিসেম্বর নারায়নগঞ্জ থেকে পুলিশ শহর শিবির সভাপতি সাঈদ সরোয়ার ও গোলাম রব্বানীকে আটক করে। ১৭ ডিসেম্বর খুলনা পাইকগাছা থেকে শিবির নেতা শেখ ফজলুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। ১৯ ডিসেম্বর টেকনাফের হ্নীলা আলিখালী থেকে সাবেক শিবির কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সরওয়ার কামাল সিকদার ও বশিরকে আটক করে। ২০ ডিসেম্বর পটুয়াখালী পুলিশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি   সেক্রেটারিসহ ৩ নেতাকে আটক করে।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঃ ১৪ ডিসেম্বর কুমিল্লার লাকসামে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী ডঃ সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকীকে আটক করে পুলিশ।    

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ