দায়সাড়াভাবেই জাতীয় কুস্তি শুরু
স্পোর্টস রিপোর্টার: ফেডারেশনের গতি দখলে রাখার চিন্তা করেই এখন আর জোড়ালোভাবে জেলা ও বিভাগীয় দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়না। অধিকাংশ ফেডারেশনগুলোর চিত্রই একই রকম। এমনই একটি কুস্তি ফেডারেশন বরাবরের মত এবারও দায়সাড়াভাবেই জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এই ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে এতদিন ফেডারেশনগুলোর নির্বাচন হয়নি। নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। মেয়াদ শেষ হওয়া ফেডারেশনগুলোতে হয়তো এবছরই নির্বাচন হতে পারে। সেই দিক মাথায় রেখে অনেকটা তড়িঘড়ি করেই মাত্র পাঁচটি জেলা দল নিয়ে জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ফেডারেশন। বাকী চারটি সার্ভিসেস দল। এভাবে ছলনা করেই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদটি তবিউর রহমান পালোয়ান দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে আগলে রেখেছেন। আগামীতেও টিকে থাকার মিশনে ৯ দলের অংশগ্রহণে আয়োজন করেছেন জাতীয় জুনিয়র কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ। গতকাল মঙ্গলবার শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে জাতীয় সিনিয়র কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্ভোধন হলো অনেকটা সাদামাটাভাবেই। সার্ভিসেস দলগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও পুলিশ। এ ছাড়া চাপাইনবাবগঞ্জ ও ঢাকাসহ পাঁচটি জেলা দলের খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন। কুস্তিগীরদের অনাগ্রহ নিয়ে সিনিয়র কুস্তিগীর বেলাল হোসাইন বলেন, ‘এই খেলার জাঁকজমক সব এখন আর নেই। আগে ঢাকার বাইরের কুস্তিগীররা অংশ নিলেও এখন তাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। প্রথমত, এখানে খেলে কোনো অর্থ পাওয়া যায় না। তাই তারা আসে না। দ্বিতীয়ত, এখানে পৃষ্ঠপোষকতা কম। তাই বেশি জেলার কুস্তিগীররা আসতে পারেন না। ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আজাদ বলেন, ‘এবার হয়তো খুব জাঁকজমক করতে পারিনি। পরবর্তীতে সহায়তা পেলে আবার ঠিক মতো কুস্তি খেলা শুরু হবে।’