বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ছড়া/কবিতা

বঙ্গমাঝে হেমন্ত
-মোসা: সামিমা বেগম


হিম-কুয়াশা পথের ধারে
শীতের পরেই বসন্ত,
শীত আগমন বার্তা নিয়ে
বঙ্গমাঝে হেমন্ত।

হিমঝুরি আর শিউলি ছাতিম            
ফোটে আরও গন্ধরাজ,
সবুজ পাতায় শিশির ঝরে
সকাল-বিকাল সন্ধ্যা সাঁঝ।

সবুজ ঘাসের হাতছানিতে
ক্ষেত-খামারে যায় গরু,
বর্ষাকালে ডুব সাঁতারে
গাছ-পাতা আর ফুল তরু।

ধানের আঁটি বোঝাই করে
কৃষক ফিরে অঘ্রাণে,
কৃষাণী তার বানিয়ে গোলা
খুশিতে হয় আটখানে।

মাড়াই কলে চলছে এখন
ধান ভাঙানোর নয়া গান,
গাঁও-গেরামে ব্যস্ত সবাই
তুলতে গোলায় নতুন ধান।

খেজুর রস আর পিঠা-পুলির
চলছে এখন হেমন্ত
শীতের খাবার খেতে মজা
টাটকা সতেজ জীবন্ত।


কালান্তরের পাখি
(বিজয় দিবস স্মরণে)
-মারুফা জাহান তামান্না

কালের আবর্তে আসে বিজয়ের মাস,
আসে উজ্জ্বল উচ্ছলতা, বিমুগ্ধ প্রয়াস।
সাথে করে বয়ে আনে শহীদের স্মৃতি,
কালান্তরের পাখি ওঁরা, স্বপ্নীল সংগীতি।

হিমেল স্তব্ধ রাত-
চারিদিক নিমগ্ন আবেশিত ঘুমে,
সৃষ্টিটা ডুবে আছে নিঃশব্দ নিঝুমে।
মনে হয় নিশীথিনী পাখা মেলে আছে,
উড়ে যাবে কোনো মহাশক্তির কাছে।

ভারাতুর জেগে আছি বিনিদ্র আঁখিতে,
বিষণ্ণ অবয়ব সঘন শাখাশাখীতে।
শহীদেরা অনিকেত ধূমসিত ধূসরে,
মনে হয়ে কাঁদে প্রাণ উষ্ণ উষরে।

মানুষের মতানৈক্যে কত যে ভিন্নতা,
রক্তে স্নাত কিন্তু এই স্বাধীনতা।
শুধু একছত্র কামনা স্বাচ্ছন্দ্য আবাসন,
যেখানে চিরায়ত নন্দীত সুর, বসন ও ভাষণ।

ষোলই ডিসেম্বর আসে হিম ছায়াচলে,
স্নিগ্ধ বিজয় নিয়ে প্রতণু আঁচলে।
চিরল বেতস বনে সৃষ্টির মাঝে,
কবির কবিতায় পাখির কলরব সাঁঝে।

ভোর হয়ে আসে রাত, জেগে থাকে মুশতারা,
শহীদদেরকে মৃত বলনা- জাগ্রত তারা।
স্রষ্টার তরফ হতে অন্নও পায়,
তারা অমর উজ্জীবিত, প্রশান্তির প্রচ্ছায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ